শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সড়কে বেহাল দশায় দূর্ভোগ কাটেনি আজো

প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আমিনুল হক, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে : এবারের বর্ষায় মীরসরাই উপজেলায় পাহাড়ী ঢল ও পানিবদ্ধতার ছোবল থেকে জনপদ ছিল অনেকটাই মুক্ত। কিন্তু এরপর ও রেহাই পায়নি রাস্তাঘাটের বেহাল দশার ছোবল থেকে। প্রতি বছর বর্ষায় বর্ষণমুখর দিনে রাস্তাঘাটের কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েই থাকে। এবার কিছু রাস্তা পূর্বেই খারাপ থাকার দরুন স্বাভাবিক ভাবেই বেহাল দশা আরো বেড়ে গেছে।
উপজেলার মুহুরী প্রজেক্ট থেকে ভাংগনি পর্যন্ত সড়কটির করুণ দশা আমাদের বার বার স্বরণ করিয়ে দেয় আমরা প্রকৃতই সড়ক উন্নয়নে পিছিয়েই আছি। এ ছাড়া নিজামপুর,সাহেরখালী সড়ক, গজারিয়া,সাহেরখালী, সমিতিরহাট এলাকার কয়েকটি সড়কে এখনো কাটেনি দূর্ভোগ। দুর্গাপুর, কাটাছরা, মিঠানালা এলাকায় ও কয়েকটি সড়কে মানুষ পোহাচ্ছে সীমাহীন দূর্ভোগ। করেরহাট, অলিনগর সড়ক ও বেহাল অবস্থা থেকে সুস্থতায় ফিরেনি।
তবে অনেক সড়কে ধারণ ক্ষমতার বাহিরে ভারী ট্রাক চলার কারণে দ্রæত ভেঙ্গে যাচ্ছে বলে অভিযোগে জানা যায়। এইসব সড়ক যাবতীয় যানবাহন ও জন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গণ দূর্ভোগের অন্ত নেই। অনেক সড়ক দিয়ে জনগন এখন দূর্ভোগ ও ভোগান্তি সয়ে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের গালমন্দ পরে চলাচল করে প্রতিদিন। এই সব সড়কের মধ্যে রয়েছে জোরারগঞ্জ থেকে মুহুরী প্রজেক্ট-ভাংগনী সহ উপকূলীয়্ বেড়ী বাঁধের সড়কটি। উপজেলার সাহেরখালী, ইছাখালী, মঘাদিয়া ৩ ইউনিয়নের সংযোগ ও হাজার হাজার মানুষের চলাচলের বিকল্পহীন এই সড়কের বিভিন্ন অংশে বর্তমানে কার্পেটিং ও তার নিচের ইটবালি ও উঠে গিয়ে বিশাল বিশাল গর্ত হয়ে রাস্তার অংশে ছোট ছোট পুকুরের মতো হয়ে গেছে। যানবাহন তো দূরের কথা এই সড়ক দিয়ে এখন আর মানুষ ও চলাচল করতে পারছে না। কোন কোন অংশে বিশাল গর্ত, আর গর্তে হাটু পানির চেয়ে ও বেশী পানি, আবার কোন কোন অংশে কার্পেটিং ইট বালু ধ্বসে গিয়ে মাটি কাদার সৃষ্টি হয়েছে। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি উপজেলার উপকূলীয় বনাঞ্চলসহ সাহেবদীনগর, মাদবরহাট, টেকেরহাটসহ দক্ষিণ উপকূলের উত্তরাঞ্চলে আসা যাওয়ার একমাত্র বিকল্পহীন সড়ক। এ ছাড়া আবার জোরারগঞ্জ- মুহুরী প্রজেক্ট সড়কের ৫কিলোমিটার এলাকায় ও রাস্তার কার্পেটিং উঠে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে জীপ, সিএনজি, ট্রাক-বাস ও চলাচল করে বর্তমানে ১৫-২০ মিনিটের এই সড়কে এক ঘন্টা লেগে যায় যেতে বা আসতে। আবার এছাড়া মাদবরহাট-বোর্ড অফিস সড়ক, বারইয়াহাট- শান্তিরহাট সড়ক গুলোর অবস্থা এখনো কোন উন্নতি হয়নি। এই বিষয়ে ইছাখালীর নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা বলেন আমাদের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন রাস্তাগুলো খুব শীঘ্রই সংস্কার করে দিবেন বলেছেন। আশা করছি আর বেশীদিন আপনাদের কষ্ট করতে হবে না। এতোদিন পূর্বের চেয়ারম্যানরা উন্নয়ণে আন্তরিক ছিলনা বলে ও তিনি দাবি করেন। আবার এই বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান বলেন অধিকাশ রাস্তাঘাট ইতিমধ্যে টেন্ডার হয়েছে। অবশিষ্টগুলো ও প্রক্রিয়াধিন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন