শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ‘শ্রোতা’ নামে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ তথ্য ভান্ডার তৈরিতে কাজ করবে এই জোট -ড. হোসেন জিল্লুর রহমান

প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে সচেতনতা আনা ও এর সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন ঘটাতে ‘সেইফ রোডস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট এলায়েন্স’ (শ্রোতা) নামে একটি নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। ৬টি সংগঠনের এই জোট ভবিষ্যতে একটি জাতীয় তথ্য ভাÐার তৈরিতে কাজ করবে। একটি কার্যকর ও সমন্বিত উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই জোট কাজ করবে।
গতকাল ব্র্যাকের সহযোগিতায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদসম্মেলনে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও ভবিষ্যৎ রূপরেখা তুলে ধরেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক-এর স্ট্র্র্যাটেজি, কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট কর্মসূচির উর্ধ্বতন পরিচালক আসিফ সালেহ, নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের চেয়ারপার্সন ইলিয়াস কাঞ্চন, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এর সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেছুর রহমানসহ নাগরিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
জোটে অন্তর্ভুক্ত ৬টি সংগঠন হচ্ছে: নিরাপদ সড়ক চাই, ব্র্যাক, পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি), বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ও বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ইমার্জেন্সি মেডিসিন। এছাড়া গবেষক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এর সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেছুর রহমান এ জোটের সঙ্গে কাজ করবেন। জোটের সকল পর্যায়ের দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করবে ব্র্যাক।
সংবাদ সম্মেলনে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান জানান, সরকারি তথ্য অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনার কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৪ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। দেশে সড়ক দুর্ঘটনাজনিত বাৎসরিক ক্ষতির পরিমাণ ৫ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ১-৩ শতাংশ। অর্থনীতিতে এ ধরনের নেতিবাচক প্রভাব কমিয়ে আনা জরুরি। এই অবস্থায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বিকল্প নেই। শ্রোতাকে একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করে এর ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আমরা একটি ফলপ্রসূ কার্যকারিতা আনতে চাই। আর এই কার্যকারিতা আনতে হলে সবার ধারাবাহিক সহযোগিতা দরকার। এজন্য আমাদের এই সম্মিলিত উদ্যোগ।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) সড়ক নিরাপত্তা বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত আছে বলে আমরা কাজ করি এটা ঠিক না। কারণ এর আগে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ প্রায় দুই যুগ ধরে কাজ করছে, ব্র্যাক বহু বছর ধরে কাজ করছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতি প্রায় ৭ বছর যাবৎ কাজ করছে। আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য সমগ্র নাগরিক শক্তিকে একত্র করে কাজে লাগানো। এই প্ল্যাটফর্মে সরকারি কোন প্রতিনিধি নেই-এই প্রশ্নের জবাবে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আমি আগেই বলছি সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারের সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে এক সঙ্গে কাজ করা। কারণ সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি শুধু সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রনালয়ের ওপর নির্ভর করে না। এর সঙ্গে অন্য মন্ত্রণালয়ও জড়িত। এজন্য এখানে চাইলে সবাইকে আনা যাবে না। আসিফ সালেহ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা এখন অর্থনৈতিক উন্নতির পথে বড় একটি বাঁধা। কারণ গ্রাম থেকে যারা শহরে আসেন তারাই এখন সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হন। এ পরিস্থিতিতে আমরা সবাই সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নিয়ে কাজ করতে চাই। আমাদের সবার লক্ষ্য সড়ক নিরাপত্তার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সমাধানে নিয়ে আসা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন