আজ উপমহাদেশের একমাত্র মহিলা ‘নওয়াব’, নারী জাগরণের অগ্রদূত, মহীয়সী নারী ফয়জুন্নেছা চৌধুরানীর ১১৮তম মৃত্যুদিবস। ১৮৩৪ সালে হোমনাবাদ পরগনা তথা কুমিল্লা জেলার লাকসামের পশ্চিমগাঁয়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯০৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তিনি ইন্তেকাল করেন। শিক্ষাবিস্তার, সমাজসেবা, সমাজসংস্কার ও নারীশিক্ষা উন্নয়নে অবদানের জন্য মহারানী ভিক্টোরিয়া তাঁকে প্রথমে ‘বেগম’ এবং পরে ‘নওয়াব’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
বেগম রোকেয়ার অগ্রজ এ বিদুষী নারী অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও মুসাফিরখানা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বাংলা, আরবি, ফারসি ও সংস্কৃত ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। "রূপজালাল " তার অমর কাব্যগ্রন্থ। " সঙ্গীত লহরী" ও " সঙ্গীত সার" নামক আরো দুটি বই তিনি রচনা করেন। কুমিল্লায় নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ফয়জুন্নেছা ছাত্রীনিবাস, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ফয়জুন্নেছা হল , জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ফয়জুন্নেছা হল, কুমিল্লা সদর হাসপাতাল ফয়জুন্নেছা ম্যাটারনিটি ওয়ার্ড, লাকসামে নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ, নবাব ফয়জুন্নেছা ও বদরুন্নেছা যুক্ত উচ্চবিদ্যালয়-সহ অনেক প্রতিষ্ঠান তাঁর স্মৃতি বহন করছে।
কুমিল্লার এ ক্ষণজন্মা কৃতী কন্যা একুশে পদক (মরণোত্তর) লাভ করেন। আজ প্রশাসন- সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক -সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা আয়োজনে তাঁকে স্মরণ ও সম্মাননা জ্ঞাপন করছে। নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ যথাযোগ্য মর্যাদায় তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন