শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুড়িগ্রামে ধরণীবাড়ী ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:৫৩ পিএম

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ধরণীবাড়ী ইউনিয়নকে প্রাথমিকভাবে বাল্যবিবাহ মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে ধরণীবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অভিভাবক, কিশোর-কিশোরী, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও শিক্ষকদের উপস্থিতিতে এ ঘোষণা দেন উলিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে উলিপুর উপজেলা প্রশাসন ও বেসরকারি সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশ’র বিল্ডিং বেটার ফিউচার ফর গার্লস প্রকল্প। এই ঘোষণার পর আগামি তিন বছরের মধ্যে এই ইউনিয়নকে সম্পূর্ণ বাল্যবিবাহ মুক্ত করার জন্য এলাকার জনসাধারণ ও সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিরোধে একত্রে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করা হল।
অনুষ্ঠানে ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পানাউল্ল্যা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মতিন, বিশিষ্ট সাংবাদিক হুমায়ুন কবির সূর্য, আরডিআরএস’র উপজেলা সমন্বয়কারী আরিফ-উজ-জামান, বিধান পাল, ধরণীবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হুদা রুবেল প্রমুখ।
আরডিআরএস বাংলাদেশ’র বিল্ডিং বেটার ফিউচার ফর গার্লস প্রকল্প প্রতিটি ওয়ার্ডে যাচাই করে দেখেছে, বিগত ২০১৮ সালে এই ইউনিয়নে বাল্যবিবাহ ও অন্যান্য কারণে ১২জন কন্যা শিশু ঝড়ে পরেছে। ২০১৯ সালে সেটি ১জনে নেমে এসেছে। এছাড়াও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এই ইউনিয়নে বিয়ে নিবন্ধন করার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। যেমন-২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিন বছরে বিয়ে নিবন্ধন হয়েছে ৩৫টি। পক্ষান্তরে ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত বিয়ে নিবন্ধন হয়েছে ৫৪টি। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে এই ইউনিয়নে ১৩৮জন যুব ও যুবাদের নিয়ে ওয়ার্ড পর্যায়ে সমাজভিত্তিক শিশু সুরক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরবর্তী তিন বছরে জরিপের মাধ্যমে কোন বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠিত হয়নি মর্মে নিশ্চিত হলে ধরণীবাড়ী ইউনিয়নকে বাল্যবিবাহ মুক্ত ইউনিয়ন ঘোষণা করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Sahel ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৪:২৮ পিএম says : 0
বাল্য বিবাহ নিরোধে যত উৎসাহ, তার বিন্দুমাত্র দেখা যায় না যৌতুক এর জন্য নির্যাতিত নিষ্পেষিত নারীদের জন্য, অথচ দ্বিতীয়টাই সর্বাধিক জরুরী ছিল, এতেই বুঝা যায় এসব অতি উৎসাহ কার স্বার্থে পরিচালিত
Total Reply(0)
Sahel ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৪:২৮ পিএম says : 0
বাল্য বিবাহ নিরোধে যত উৎসাহ, তার বিন্দুমাত্র দেখা যায় না যৌতুক এর জন্য নির্যাতিত নিষ্পেষিত নারীদের জন্য, অথচ দ্বিতীয়টাই সর্বাধিক জরুরী ছিল, এতেই বুঝা যায় এসব অতি উৎসাহ কার স্বার্থে পরিচালিত
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন