শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার কমিয়েছে সরকার। সঞ্চয়পত্রে যাদের ১৫ লাখ টাকার ওপরে বিনিয়োগ আছে, তাদের মুনাফার হার দুই শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। পুনর্র্নিধারিত মুনাফার হার বাস্তবায়নে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারটি সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়— যারা নতুন করে সঞ্চয়পত্র কিনবেন, শুধু তাদের জন্য পরিবর্তিত এ হার কার্যকর হবে। আগের কেনা সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেটি পুনঃবিনিয়োগ করলে, তখন নতুন মুনাফার হার কার্যকর হবে। ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক উভয়ের জন্য মুনাফার নতুন এই হার প্রযোজ্য হবে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে বর্তমানে মেয়াদ শেষে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যায়। নতুন নির্দেশনায় যারা সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করবেন, তারা মেয়াদ শেষে মুনাফা পাবেন ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ হারে। ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ থাকলে মুনাফার হার হবে ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।

তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষে মুনাফার হার ছিল এতদিন ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এখন ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার হার কমিয়ে করা হয়েছে ১০ শতাংশ। সঞ্চয়পত্রে যাদের বিনিয়োগ ৩০ লাখ টাকার বেশি তারা মেয়াদ শেষে মুনাফা পাবেন ৯ শতাংশ হারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Jamaluddin ৩ অক্টোবর, ২০২১, ৭:১৫ এএম says : 0
ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত অর্থনীতি বিদ মহোদয় প্রথম কিক টি মেরেছিলেন সন্চয় পত্র ধারী মানুষের পেটে। তিনি বলেছিলেন সন্চয় পত্র এর লাগাম টেনে ধরতে হবে কারণ সরকারের ঋণের বোঝা বেশি হয়ে গেছে এবং সেই ধারা এখনো অব্যাহত রেখেছেন পরবর্তী মহোদয়। আবার ও মুনাফা কমিয়ে দিয়েছেন। যাদের কারি কারি টাকার পাহার আর বিলাল বহুল পাথরের বাড়ী, গড়ি আছে তাঁদের চোখে সন্চয় পত্র ধারীরা শুধু দুই পা বিশিষ্ট অসহায় প্রাণী। আর প্রাণীদের প্রতি রাষ্ট্রের কোন দায়িত্ব নেই। অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান, এইসব ব্যবস্থা করার কোন দায় বর্তায় না। পরিবার সন্চয় পত্র একটি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী মহোদয় এর প্রকল্প, তিনি করেছেন এটা যাতে করে অবসরপ্রাপ্তরা,বিধবা,স্বামী পরিত্যক্ত মহিলারা অন্তত একটা আয়ের রাস্তা থাকে এবং মোটামুটি খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে পারে। আর উনারা এই প্রকল্পের উপর বার বার মিগ ২৫ দিয়ে আঘাত হেনেছেন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী মহোদয় এর গৃহীত এই প্রকল্পে উপর অপারেশন সার্চলাইটের ঢেউ বার বার আঁচড়ে পরছে এবং এই প্রকল্পের আওতায় জীবন-জীবিকাকে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ঠেলে দিতে একটুও ভাবেনি। সরকারের ব্যয় কমানোর থিওরি নাকি এইটাই। আর কোন আপডেট ভার্সান নাই যা সরকারের ঋণের বোঝা কমতে পারে। আরে একবার ভেবে দেখবেন জন্মের পর যত মাস, বছর,দিনগুলো পিছনে ফেলে আজকে এই অবস্থানে আগামীতে আরো সেই সমান বছর আল্লাহ রাখবেন কিনা গরিবের দীর্ঘশ্বাস, অস্পষ্ট চাপা কান্না, কষ্টের তিক্ততা, চোখের জলের দাম আল্লাহ দিয়ে থাকেন যদিও মহোদয় গন না দেয়। আল্লাহ মহোদয় গানকে বুঝার তৌফিক দান করুন। আমিন
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন