ঢাকার ধামরাইয়ে বন বিভাগের প্রায় ৬৫টি গাছ চুরির অভিযোগে সমাজ ও জাতি গঠন (সজাগ) নামের একটি এনজিওর পরিচালকসহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গতকাল রোববার সজাগের পরিচালক আব্দুল মতিনসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা। মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলা বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই সজাগ (এনজিও) উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের চাপিল এলাকা থেকে নওগাঁও ৩ কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশের ৪০টি গাছ এবং কুশুরা ইউনিয়নের বান্নাখোলা এলাকা থেকে পথহাড়া রাস্তার ২৫টি গাছসহ ৬৫টি বড় আকারের মেহগনি গাছ বিক্রি করে দিয়েছে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা গাছ কাটতে বাধা দিলে সজাগ এনজিওর কর্মকর্তা ও যারা গাছ ক্রয় করেছেন তারা বলেন, আমরা গাছ কাটবই। বিভাগের কর্মকর্তা মোতালিব আল মোমিন বিষয়টি ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। পরে তিনি সরেজমিনে গিয়ে গাছ কাটার ২ টি দা, ২ টি কুড়াল, ২ টি করাত, সাবল, রশিসহ বেশ কিছু যন্ত্রপাতি জব্দ করেন।
উপজেলা বন বিভাগের অফিস সূত্রে জানা যায়, রাস্তার দু’ পাশে ১৯৯০ সালে ওয়াল্ড ফুড প্রোগামসের আওতায় গাছ লাগানো হয়। কিন্তু এ বিষয়ে সজাগ এনজিও এর সাথে ওই কর্মকর্তাদের কোন চুক্তি হয়নি।
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. মোতালিব আল মোমিন জানান, সজাগ এনজিওর কর্মকর্তারা বন বিভাগের কোন অনুমতি না নিয়েই নিজেরদের ইচ্ছে মত এই গাছগুলো বিক্রি করেছে এবং প্রায় সব গাছই কেটে ফেলেছে। দুই জায়গায় মোট ৬৫টি কাটা গাছসহ গাছ কাটার যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। এই গাছের আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। তিনি আরো বলেন, সজাগের পরিচালক আব্দুল মতিনসহ চার জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, সরকারি রাস্তার সরকারি গাছ কেটে নেয়া এটা সম্পূর্ণ অবৈধ। এভাবে সরকারি জায়গার গাছ কাটার এখতিয়ার কারো নেই। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে সমাজ ও জাতি গঠন ( সজাগ) এর পরিচালক আব্দুল মতিনকে ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন