দেশ ও দেশের বাইরে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশাপাশি বিশ্ব নেতাদের জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তার ৭৫তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে। এসব বার্তায় শেখ হাসিনার সাফল্য ও সুস্বাস্থ্য কামনার পাশাপাশি তার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিসি৷ সিপিসির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে এক বার্তায় এ শুভেচ্ছা জানানো হয়৷ সিপিসি ইন্টারন্যাশনাল বিভাগের মিনিস্টার সং তাও’র স্বাক্ষরিত শুভেচ্ছাবার্তায় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও সফলতা কামনা করা হয়।
শুভেচ্ছাবার্তায় আগামী দিনে চায়না কমিউনিস্ট পার্টি ও আওয়ামী লীগের সম্পর্ক ‘পার্টি টু পার্টি’ সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
শুভেচ্ছা বার্তায় উল্লেখ করা হয়, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি তার শক্তি-সামর্থ ও সহযোগিতা নিয়ে সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পাশে থাকতে প্রস্তুত।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ও চীন দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী এবং উন্নয়ন সহযোগী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক টুইট বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়। বার্তায় প্রধানমন্ত্রীর সফলতা কামনা করেছেন মমতা।
দেশের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের মধুমতি নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি তিনি।
চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছেন। সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনেও তিনি বিশ্বনেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতায় পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দিয়ে সারা বিশ্বে হয়েছেন প্রশংসিত। বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে করোনাকালেও দেশের প্রবৃদ্ধি এশিয়ায় প্রায় সব দেশের ওপরে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্থায়ী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, খাদ্যে স্বনির্ভরতা, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ অবকাঠামো, যোগাযোগ, জ্বালানী ও বিদ্যুৎ, বাণিজ্য, আইসিটি এবং এসএমই খাতে এসেছে ব্যাপক সাফল্য। বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়নের পাশাপাশি শেখ হাসিনার ঝুলিতে জমেছে অনেকগুলো অর্জন। পেয়েছেন আন্তর্জাতিক অনেক সম্মাননা ও পদক। এ পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে দেওয়া আন্তর্জাতিক পুরস্কারের সংখ্যাও অনেক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন