সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সিলেটে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। মন্ডপে মন্ডপে শিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় বর্ণিল হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন প্রতিমা। এবার ৬৭০টি মন্ডপে পূজা হবে সিলেটে । সেকারণে মণ্ডপগুলোতে চলছে উৎসবের বর্ণাঢ্য প্রস্তুতি।
সূত্র জানায়, আগামী ১০ অক্টোবর মহা পঞ্চমীর মধ্যে দিয়ে শুরু হবে শারদ উৎসব। তাই মন্ডপে মন্ডপে চলছে দেবী দুর্গার বর্ণিল সাজ-সজ্জার শেষ মুহূর্তের কাজ। রং করা হচ্ছে প্রতিমায়। পুজোর যাবতীয় উপকরণ, পুজো, পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, চন্ডীপাঠ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আরতি, ভজন কীর্তন, আলোকসজ্জা ও ডেকোরেশনসহ নানান প্রস্ততি প্রায় শেষ পর্যায়ে।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘এবারও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ অনেকগুলো নির্দেশনা মেনে পদক্ষেপ নিয়েছি পুজো আয়োজনের। প্রতিমাশিল্পী দুলাল পাল বলেন, প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। এখন চলছে রং-তুলির কাজ। কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিমাগুলো পূর্ণতা পাবে।
পূজা উদ্যাপন পরিষদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা সংশ্লিষ্ট সূত্রে, ৬০৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে সিলেট। মহানগরে আছে ৬৫টি মন্ডপ। সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বজনীন ৫০টি ও পারিবারিকভাবে ১৫টি মন্ডপে পূজা হবে। শারদ উৎসব উপলক্ষে নগরীর বিপণিবিতানগুলোতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘পূজা উপলক্ষে মার্কেটগুলোতে সনাতন ধর্মের ক্রেতাদের বেড়েছে ভিড়। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।’
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ সিলেট মহানগর সেক্রেটারী রজত কান্তি গুপ্ত বলেন, ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, প্রতিটি পূজা মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা, জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা ও পরিদর্শন বই রাখার জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছি আমরা। তিনি বলেন, দেবী দুর্গা আসছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন পৃথিবীকে আলোকিত করতে। ঢাক, ঢোল, শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনি দিয়ে দেবী দুর্গাকে বরণ করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভক্তরা।
পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, দুর্গাপূজায় সিলেটের পূজা মণ্ডপগুলোতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। মণ্ডপগুলোতে রাখা হবে বাড়তি নজরদারি, থাকবে গোয়েন্দা তৎপরতাও।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন