দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্দিনে অর্থের অবলম্বন হিসেবে নির্দিষ্ট একটি পরিমাণ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখার বিধান করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোনো সময় লোকসানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিণত হলে তার গচ্ছিত বীমার টাকা থেকে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধের জন্য এ ব্যবস্থা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তবে নির্দিস্ট সময়ে তা আলাদাভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব দেয়ার কেথা থাকলেও ব্যাংকগুলো তা না দেয়ায় সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে সার্কুলার দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা এক সার্কুলারে বলা হয়, আমানত বিমা প্রিমিয়াম হিসাবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংককে তাদের আমানত বিমা প্রিমিয়াম নির্ধারণী সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি ষান্মাষিক ভিত্তিতে নির্ধারিত ছকে ডিপোজিট ইন্সুরেন্স বিভাগে দাখিলের নির্দেশনা রয়েছে।
তবে সম্প্রতি পরিলক্ষিত হচ্ছে, ষান্মাষিক ভিত্তিতে বিবরণী দাখিল করলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগ হতে প্রদত্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুমোদন বা নির্দেশনার মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর রেগুলেটরি বিধিবিধান পরিপালনে পরিবর্তন এমনকি ব্যাংকিংয়ের মৌলিক পরিবর্তন ঘটলেও তা যথাসময়ে অত্রবিভাগকে অবগত না করার কারণে আমানত বিমা প্রিমিয়াম হিসাবায়ন কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন