জার্সির সরকার মাছ ধরার জন্য আবেদন করা ফরাসি নৌকার এক তৃতীয়াংশ প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে ক্ষুব্ধ জেলেরা তাদের প্রধান বন্দর অবরোধ করতে পারে এই আশঙ্কায় তারা নিজেদের প্রস্তুত করছে। এদিকে ফ্রান্স বলেছে যে, এ ঘটনায় তারা ‘প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা’ দেখবে।
ফ্রান্সের সামুদ্রিক মন্ত্রী অ্যানিক গিরার্দিন বলেছেন, যুক্তরাজ্য দ্রুত বিরোধ নিষ্পত্তি করতে না পারলে ফ্রান্স এবং ইইউ আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নিয়ে কাজ করবে। মাছ ধরার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, প্যারিস শক্তি ও বাণিজ্যের পাশাপাশি ট্রেন সংযোগ এবং ফ্রান্সে বসবাসরত ব্রিটিশ শিক্ষার্থীদের নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বিবেচনা করছে। তিনি অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোকে সংহতি দেখানোর আহ্বান জানান ‘কারণ ফ্রান্স আজ যা পার করছে, অন্যরাও এর মধ্য দিয়ে যাবে’।
ফরাসি সরকারের মুখপাত্র গ্যাব্রিয়েল আত্তাল বলেন, যুক্তরাজ্য এবং জার্সি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তগুলো ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং অননুমোদনীয়’ এবং ‘ব্রেক্সিটের কাঠামোতে স্বাক্ষরিত চুক্তির পরিপন্থী’। তিনি বলেন, ‘আমরা এই ইস্যুতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য (ইউরোপীয়) কমিশনের সাথে আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি এবং চুক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হলে নেয়া যেতে পারে এমন সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থাগুলোও সন্ধান করতে যাচ্ছি।’
জার্সির পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী ইয়ান গর্স্ট জোর দিয়েছিলেন যে, এই বছরের শুরুতে ইতিমধ্যেই লাইসেন্সপ্রাপ্ত ৪৭টি ফরাসি জাহাজ ছাড়াও সরকার নতুন করে আরো ৬৪টি পূর্ণ লাইসেন্স এবং ৩১ টি অস্থায়ী লাইসেন্স দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে তার সরকার একটি ‘বাস্তববাদী’ পন্থা অবলম্বন করেছে। সঙ্গত কারণেই কিছু ফরাসি জাহাজকে লাইসেন্স দেয়া হয়নি।
তবে গিরার্দিন ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে তার দেশের জেলেদের রাজনৈতিক জিম্মি হিসেবে নেয়ার অভিযোগ এনেছিলেন এবং জার্সির সিদ্ধান্তের বিষয়ে মঙ্গলবার একটি পৃথক ঘোষণা দেন এবং বলেন যে, যুক্তরাজ্য সরকার তাদের বেশিরভাগ জাহাজকে তার উপকূলীয় জলে প্রবেশাধিকার দিতে অস্বীকার করেছিল।
এ বিষয়ে ইউরোপীয় কমিশনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তারা ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা চাইবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের মৎস্যজীবী এবং নারীদের স্বার্থে আরও বেশি করে জড়িত থাকব যাতে আরও লাইসেন্স দেয়া হবে।’ ইইউ সূত্রে ঘটনাগুলির একটি সন্দেহজনক বিশ্লেষণ দেয়া হয়েছে। একজন পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, আসন্ন কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলনকে মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন