বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদে সুফল ভারত ভোগ করছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারতের অবৈধ মৎস্যশিকারীরা প্রতিদিন বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধ প্রবেশ করে লাখ লাখ টন ইলিশ ধরে নিয়ে ভারতে বাজারজাত করছে। যার ফলে বাংলাদেশের মৎস্যজীবীরা আশানুরূপ মাছ পাচ্ছেনা। বাংলাদেশের বাজারে ইলিশের প্রতি কেজির মূল্য যেখানে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে অথচ ভারতে অবৈধ পন্থায় বাংলাদেশের জলসীমা থেকে মৎস্য শিকারীরা ইলিশ মাছ বাজারজাত করে বিক্রি করছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমান সরকার বাংলাদেশের জলসীমা ভারতের স্বার্থে অরক্ষিত রেখে ভারতে অবৈধ মৎস্যজীবীদের বাংলাদেশের জলসীমায় অবাধে ঢুকে ইলিশ শিকার করে ভারতে নিয়ে যাওয়ার অবাধ সুযোগ করে দিচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের মৎস্যজীবীরা মাছ আহরণের অপ্রতুলতার কারণে মাছ ধরা পড়ছে কম। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল প্রতিবছরই ভারতের অবৈধ মৎস্য শিকারিদের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে কিন্তু বর্তমান সরকার দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে পার্শ্ববর্তী ভারতের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত ।
মৎস্যজীবী দলের দাবী, বর্তমান সরকার বাংলাদেশের মানুষকে সম্পদের সুফল ভোগ করতে দিচ্ছে না। উপরন্তু ভারতকে উপহার হিসেবে ইলিশ মাছ দিয়ে খুশি করার প্রক্রিয়াও চালু রেখেছে সরকার। বাংলাদেশের জলসীমা অরক্ষিত রাখার কারণেই ভারতের জেলেরা প্রতিনিয়ত অবৈধ পন্থায় শিকার করে ভারতে বাজারে কম মূল্যে বিক্রি করে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং আমাদের দেশের মৎস্যজীবীদেরকে বঞ্চিত করছে। অথচ এই ইলিশ আমরা বাইরে রপ্তানি করলে কোটি কোটি ডলার আয়ের সুযোগ পেতাম। বাংলাদেশ তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
মৎস্যজীবী দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকারের দুর্নীতি-দুঃশাসন, স্বজনপ্রীতির কারণে প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত নিশি রাতের অবৈধ সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একনায়কতন্ত্র ও একদলীয় শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। প্রতিবাদ করারও সুযোগ নেই। জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভারতের অবৈধ শিকারিদের হাত থেকে ইলিশ পাচার রক্ষা বন্ধের দাবি জানায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন