টেক জায়েন্ট স্যামসাংকে ৪৬ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৪শ কোটি টাকা জরিমানা করল ডাচ কনজিউমার ওয়াচডগ। দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা নেদারল্যান্ডের অনলাইন রিটেলারদের বেশি দামে টেলিভিশন সেট বিক্রি করার জন্য অধিক চাপ সৃষ্টি করেছিল। জানা গেছে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নেদারল্যান্ডের রিটেলাররা নিজেদের মর্জি মতো দামে টেলিভিশন বিক্রি করতে চাইছিল। তবে, স্যামসাং তখন সমস্ত রিটেলারদের চাপ দিয়ে বেশি দামে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে বাধ্য করে, যা মার্কেট কম্পিটিশন নিয়মের বিরুদ্ধে। যদিও স্যামসাং উক্ত অভিযোগকে সাফ অস্বীকার করে ডাচ কনজিউমার ফোরামের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। বুধবার ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট স্যামসাং-এর বিরুদ্ধে নিয়ম লংঘন করার অভিযোগ আনে ‘ডাচ কনজুমার ওয়াচডগ’। ‘নেদারল্যান্ডস অথরিটি ফর কনজিউমার্স অ্যান্ড মার্কেটস’ (এসিএম) এর নিয়ম অনুযায়ী দেশীয় খুচরা বিক্রেতারা তাদের মনমাফিক টেলিভিশনের মূল্য নির্ধারণ করতে পারবেন। তবে, স্যামসাং বা অন্য কোনো সংস্থার ক্ষেত্রে এই নিয়মটি প্রযোজ্য নয়। এসিএম বোর্ডের চেয়ারম্যান মার্টিজন স্নোপ বলেছেন, উল্লেখিত সময়ে, স্যামসাং নিজেদের মুনাফা বাড়ানোর লক্ষ্যে, রিটেলারদের নিজেদের মন মতো দামে প্রোডাক্ট বিক্রি করতে দেয়নি, যা রিটেল স্তরের প্রতিযোগিতায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। এর ফলে ক্রেতাদেরও বেশি দামে টিভি কিনতে হয়েছে। এসিএম-এর তরফে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, দাম বেঁধে দিয়ে স্যামসাং ওই সময় পুরানো মডেলগুলিও বেশি দামে বিক্রি করেছে। জনপ্রিয় কোম্পানি হওয়ায়, রিটেলাররা বাধ্য হয়েছে তাদের টিভি বিক্রি করতে। ডাচ কনজিউমার ওয়াচডগ জানিয়েছে যে, তদন্ত চলাকালীন তারা স্যামসাং কর্তৃক খুচরা বিক্রেতাদের কাছে করা ই-মেইল এবং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটকে প্রমাণ হিসেবে বাজেয়াপ্ত করেছে। এক্ষেত্রে, এসিএমের এই সিদ্ধান্তে বিরক্তি প্রকাশ করে স্যামসাং জানিয়েছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আপিল করা হবে এবং তারা কখনই মার্কেট কম্পিটিশন নিয়ম লংঘন করেনি। ডেইলি হান্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন