পারিবারিক বন্ধনের অভিনব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়নের আশাকোলা গ্রামে। ৬ বছর আগে মারা যাওয়ার পূর্বে আশাকোলা গ্রামের আব্দুল শাহ তার ৫ ছেলেকে ডেকে তার মৃত্যুর পর তারা যেন পৃথক না হয়ে একত্রে বসবাস করে এবং তাদের পরিবারের কোন সমস্যায় যেন তৃতীয় পক্ষ না ঢুকে পড়ে সে জন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলে যায়। মরহুম আব্দুল শাহ’র কথা রেখেছে তার পাঁচ সন্তান। তারা দ্রুত ‘একতা পরিবার’ নামে একটি ব্যানারের অধীনে এসে এর একজন সভাপতি, সেক্রেটারি, কোষাধ্যক্ষ, প্রচার সম্পাদক প্রতীকী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়া পরিবারের বাইরের একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন। যিনি প্রয়োজনে চূড়ান্ত ফয়সালার কাজটি করে দেন এবং সবাই তা মেনেও নেন। এই সংগঠনের জন্য একটি অভিযোগ বাক্সও রয়েছে। যেখানে কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে সেটা জমা দেয়া হয়।
এই পরিবারের সদস্যরা প্রতি শুত্রবার ৫ ভাইয়ের যেকোন একজনের বাড়িতে সকাল ৮টায় একটা মাসিক অধিবেশনে মিলিত হন। মোটামুটি সৌজন্য সাক্ষাৎ, কুশল বিনিময়, বিচার আচার থাকলে সেটা সম্পন্ন করা ছাড়াও অসুখ, বিয়ে শাদী, ছেলে মেয়েদের পড়ালেখার খোঁজ খবর নেওয়া হয়। একতা পরিবারের সভা গুলোতে মাঝে মাঝে অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। গত শুক্রবার একতা পরিবারের ৮৩ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় অতিথি করা হয় দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ সংবাদদাতা ও বগুড়া ব্যুরো চীফ মহসিন রাজুকে। মরহুম আব্দুল শাহ’ ও মৃত থোতেজা বেগম দম্পতির যে পাঁচ সন্তান এই একতা পরিবারকে টিকিয়ে রেখেছেন তারা হলেন, যথাক্রমে ইরফান আলী, জাহিদুর রহমান, আজিজুর রহমান ও শহিদুল ইসলাম আকাশ। শহীদুল ইসলাম আকাশ সাংবাদিকতার সাথে জড়িত এবং তার অপরারাপর ভাইয়েরা সবাই ব্যবসায়ী। এই বন্ধন কতদিন টিকে থাকতে পারে বলে মনে করেন জানতে চাইলে আকাশ ইসলাম বলেন, ৬ বছরতো পার হল, আশাকরি আমাদের পাঁচ ভাইয়ের অবর্তমানে আমাদের ছেলেরাও এই ধারা বহালই রাখবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন