অবিলম্বে মানবপাচার আইনের (২০১২) অপপ্রয়োগের অবসান চাই। এই আইনে জামিন অযোগ্য ধারায় রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা জেল জুলুল ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন। দেশের স্বার্থ বিরোধী এনজিওগুলোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই মানবপাচার আইনে এজেন্সিগুলোর সাংবিধানিক অধিকার বিরোধী কালো ধারা সংযোজন করা হয়েছে। বৈধভাবে কর্মী পাঠিয়ে মানবপাচার আইনে জেল জুলুমের শিকার হওয়া মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। উল্লেখিত আইনে কালো ধারা অর্ন্তভুক্ত করে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সামাজিক ও অর্থনৈতিক মর্যাদা ক্ষন্ন করা হয়েছে। অবিলম্বে মানবপাচার আইনের কালো ধারাসমূহ সংশোধন করতে হবে। রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামনে আজ রোববার মানব পাচার মামলায় ভুক্তভোগী ও সাধারণ রিক্রুটিং এজেন্সি’র মালিকবৃন্দ আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বায়রা সদস্য কল্যাণ পরিষদের মহাসচিব লীমা বেগম, রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের মহাসচিব আরিফুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, ফাতেমা আক্তার, হক জহিরুল জু, আবু সালেহ জাফর,আব্দুল মতিন, মো. হানিফ,আহমেদুর রহমান, মিয়া মোহাম্মদ উল্লাহ, আক্তার হোসেন, কবির হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, আহমাদুল্লাহ বাচ্চু, ইনাম আব্দুল্লাহ মহসিন, বজলুর রহমান,শাহিন উদ্দিন, নাসির উদ্দিন, মনির হোসেন, ফিরোজ উদ্দিন, কাজী আঃ রহিম, জসিম উদ্দিন ও আনোয়ার হোসেন। সভাপতির বক্তব্যে এম টিপু সুলতান বলেন, বৈধ প্রক্রিয়ায় বিদেশে কর্মী প্রেরণ করে আমরা মানবপাচারকারী হলে এর সাথে রাষ্ট্রপক্ষ জড়িত। এনজিওদের চক্রান্তের কারণেই মানবপাচারকারী আইনে কালো ধারাসমূহ অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা মানবপাচারকারীদের পক্ষে নই। অবৈধপথে, সমূদ্র পথে এবং বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় দালাল চক্র যুবকদের প্রতারণার মাধ্যমে বিদেশে পাঠায় তারা হচ্ছে মানবপাচারকারী। এদের কঠোর হস্তে দমন করা হোক। টিপু সুলতান বলেন, মানবপাচার আ্ইনের কালো ধারাসমূহ সংশোধনের দাবিতে আগামী অক্টোবর রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে স্মারকলিপি পেশ করা হবে। তিনি এ কর্মসূচি সফল করার জন্য সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন