অবশেষে ৪৭ দিন বন্ধের পর বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের উভয় প্রান্ত থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালনো হয়েছে ফেরি। তবে স্বাভাবিক নিয়মে ফেরি চলাচলের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা কে-টাইপ ফেরি ‘কুঞ্জলতা’ সফলভাবেই বাংলাবাজার ঘাটে এসে পৌঁছে। ফেরিটি পদ্মা সেতুর ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের মাঝ দিয়ে অতিক্রম করে ১২টা ৫ মিনিটে বাংলাবাজার ঘাটে পৌঁছায়। সেখানে ৩০ মিনিট যানবাহন ওঠানো-নামানোর পর দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে ফেরি কুঞ্জলতা ৪৩টি পরিবহন নিয়ে সেতুর ১৯ ও ২০ পিলারের মাঝ দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে সফলভাবে ফিরে আসে।
ফেরিটি চালুর আগে শিমুলিয়া ঘাটে বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) এসএম আশিকুজ্জামানকে অভ্যর্থনা জানান বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. শফিকুল ইসলাম ও বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন। এসএম আশিকুজ্জামান ফেরিতে শিমুলিয়া ঘাট থেকে বাংলাবাজার ঘাট হয়ে ফের শিমুলিয়া ঘাটে ফিরে আসেন। এরপর দুপুর ১টার দিকে ‘ক্যামেলিয়া’ নামের একটি কে-টাইপ ফেরি হালকা চার থেকে পাঁচটি যানবাহন নিয়ে শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে গত আগস্ট মাসের ১৮ তারিখ থেকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। দীর্ঘ ৪৭ দিন পর গতকাল পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও স্বাভাবিকভাবে ফেরি চলাচল করতে আরো কিছু দিন সময় লাগবে বলে বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ঘাট সূত্র জানিয়েছে।
কুঞ্জলতা ফেরির মাস্টার সাইফুল ইসলাম জানান, ফেরিটিতে ৭টি প্রাইভেট কার, ৭টি পিক অ্যাপ, ৩টি কাভার্ড ভ্যান ও ২০টি মোটরসাইকেল ছিলো। নদীতে এখনো স্রোত ও নাব্য সঙ্কট রয়েছে। ফলে ফেরি চালানো অনেক কষ্টকর। তাছাড়া দীর্ষ ৪৭ দিন ধরে এই রুটে ফেরি বন্ধ থাকায় একটু হিমশিম খেতে হয়েছে। তাছাড়া পদ্মা সেতুর কোন পিলারে আঘাত লাগার বিষয়টি বেশি ভাবিয়ে তোলে। যে কারণে অতিমাত্রার সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ফেরি ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, শিমুলিয়া থেকে সকালে কুঞ্জলতা নামের একটি ফেরি বাংলাবাজার ঘাটে এসে ভিড়েছে দুপুর ১২টায়। পরে যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে ফেরিটি পুনরায় শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এছাড়াও দুপুর ১টার দিকে ক্যামেলিয়া নামের একটি কে-টাইপ ফেরি হালকা চার-পাঁচটি যানবাহন নিয়ে শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এভাবে আরো দু’ তিন দিন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারলেই ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে। তবে এখনো সব ফেরি চলাচলের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম বলেন, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে পরীক্ষামূলক ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। চলাচলে কোনো সমস্যা না হলে স্বাভাবিকভাবে ফেরি চলাচল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন