বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বিদেশি পর্যটকদের জন্য ক্যাসিনোসহ সব সুবিধা রাখার সুপারিশ সংসদীয় কমিটির

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০০ এএম

বিদেশি পর্যটকদের টানতে ক্যাসিনোসহ তাদের বিনোদন উপযোগী সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রেখে স্থাাপনা নির্মাণের সুপারিশ করেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। এ জন্য একটি এক্সক্লুসিভ জায়গা নির্ধারণের কথাও বলেছে কমিটি। গতকাল সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ।
কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আ স ম ফিরোজ। বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, মো. মাহবুব-উল আলম হানিফ, মির্জা আজম, মুহিবুর রহমান মানিক এবং নাহিদ ইজাহার খান প্রমুখ।
আ স ম ফিরোজ বলেন পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ এখন দ্বিতীয় অবস্থাানে রয়েছে। আমাদের এখানে অনেক বিদেশি বায়ার আসেন। কিন্তু বিদেশিদের জন্য আমাদের এখানে অ্যামিউজমেন্টের কোনো ব্যবস্থা নেই। মুসলিম দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে, তারা বিদেশি পর্যটকদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রেখেছে। আমরাও চাই, দেশে বিদেশি পর্যটক আসুক। তারা তাদের মতো করে ওই নির্ধারিত এলাকায় ঢুকবে, সেখানে বাংলাদেশের কোনো লোক যেতে পারবে না। সারা বিশ্বে যে ধরনের সুযোগ দেওয়া হয়, তাদের জন্য সেসব সুযোগ সেখানে থাকবে। এতে বাংলাদেশকে মানুষ চিনতে পারবে।
এ বিষয়ে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে বিদেশি পর্যটকদের জন্য ‘ডেডিকেটেড ক্যাসিনো’সহ তাদের বিনোদন উপযোগী ব্যবস্থা রেখে স্থাপনা নির্মাণের জন্য কমিটি সুপারিশ করেছে।
বৈঠকে পর্যটন শিল্পে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহকে কাজে লাগানোর জন্য সুপারিশ করা হয়। এছাড়া পর্যটনশিল্প বিকাশের স্বার্থে আন্তর্জাতিক পর্যটন সংস্থাসহ দেশি-বিদেশি ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের সহযোগিতা গ্রহণের জন্য কমিটি সুপারিশ করে।
কক্সবাজারে পর্যটন করপোরেশনের মোটেল শৈবাল, প্রবাল ও উপলকে একত্রিত করে মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে আধুনিক, আকর্ষণীয় এবং উন্নত সুযোগ সুবিধাসহ পর্যটন স্থাপনা তৈরি এবং কুয়াকাটার পর্যটন এলাকা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে অগোছালো স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করে মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যমে আধুনিক, আকর্ষণীয় এবং উন্নত সুযোগ সুবিধাসহ পর্যটন স্থাপনা তৈরির সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, কক্সবাজারের তিনটি মোটেলে মোট সাড়ে ১৫ একর জমি। এর অবস্থানও একেবারেই বিচের কাছে। কিন্তু সেখানকার মোটেল তিনটিতে সেই ধরনের সুযোগ সুবিধা নেই। বেশিরভাগ রুম নন-এসি। পর্যটকরা সেখানে থাকতে চান না। এ জন্য আমরা তিনটি মোটেলকে একত্রিত করে সব ধরনের সুযোগ সুবিধাসহ স্থাপনা তৈরির সুপারিশ করেছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন