জরুরী জাতীয় সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে মহেশখালীর সোনাদিয়ার পশ্চিম প্রান্তে সমুদ্রে আটকে পড়া ১৪ জন পর্যটক উদ্ধার পেয়েছেন। ১৫ জন পর্যটকবাহী ওই ইঞ্জিন বোটের এক পর্যটকের ফোন কলে ১৪জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এপর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে ১ জন। তাকে উদ্ধারে তৎপরতার চালানো হচ্ছে।
উদ্ধার পাওয়া ব্যক্তিরা হচ্ছেন, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাঘকুম পাড়া গ্রামের আব্দুল গনীর পুত্র নুরুল আলম, জালাল আহামদের পুত্র বেলাল (৩০) ইউচুপ জালালের পুত্র আব্দুশুকুর(২৭) মমতাজ আহামদের পুত্র কবির আহামদ (৫১) জালাল আহামদের পুত্র মামুনুর রশিদ(২৩) আবুল খায়ের এর পুত্র টিটু (২৪) লেয়াকত আলীর পুত্র বাবুল (২৬) শামসুল আলমের পুত্র তৌহিদ (৩০), মো আলীর পুত্র ইসমাইল (২৫), ইসমাইল (২৫), রমজানুল হকের পুত্র ইনজামামুল ২৭), শওকত আলীর পুত্র খোরশেদ আলম(৩৪), মোঃ আলীর আব্দুল্লাহ(৩২) আব্দুর রহিমের পুত্র মোঃ ফারুক (২৪) ও ইয়ার মোহাম্মদের পুত্র আসাহাব উদ্দিন (৩৩)। নিখোঁজ রয়েছে জাফর আলমের পুত্র শাকিব হাসান (২৩)।
জানা গেছে, ৪ অক্টোবর সকাল ৯টায় খুটাখালী ইউনিয়ন এর বাঘকুম গ্রামের ১৫ জন বন্ধু ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে সোনাদিয়া দ্বীপে বেড়াতে যায়। পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত জাহাজ দেখে ফেরার পথে সাগরের মাঝ পথে বরোদিয়া নামক স্থানে বালির চরে আটকে যায় তাূের নৌকা। নৌকাটি বালি থেকে ছাড়ানোর চেষ্টার পর ভাটার টানে নৌকাটি সাগের মাঝ খানে চলে গেলে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিয়ে তাদের উদ্ধারের অনুরোধ করেন।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাফুজুর রহমান, মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই, ওসি তদন্ত আশিক ইকবাল, কুতুবজোমের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকনের তৎপরতায় সোনাদিয়া এলাকার সেচ্ছাসেবী গিয়াস উদ্দিন একটি ফিশিং বোটে করে তাদের উদ্ধার করে। রাত অনুমান ১১টার দিকে বরোদিয়া নামক স্থান থেকে ১৪ জন কে জীবিত উদ্ধার করতে পারলে ও শাকিব হাসান নামের একজন কে এখনো উদ্ধার করতে পারেনি।
এ উদ্ধার কাজে সহায়তা করেন সোনাদিয়ার নবনির্বাচিত মেম্বার একরাম মিয়া, ঘটিভাঙ্গার সাবেক মেম্বার নুরুল আমিন খোকা সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন