জন্মের আগেই নবজাতককে বিক্রির পরিকল্পনা করেন নানী। শিশু পাচারকারী চক্রের কাছ থেকে অগ্রিম ৫৭ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। জন্মের তিন দিনের মাথায় মায়ের অগোচরে নবজাতককে তুলে দেন পাচারকারীদের হাতে। তবে পুলিশের অভিযানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন নানী রাবেয়া খাতুন (৪২)।
বুধবার ভোরে পাচারকারী চক্রের অপর দুই সদস্য মো. হারুন (৫৫) ও মনোয়ারা বেগমকে (৩৭) পাকড়াও করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল কবির ইনকিলাবকে বলেন, নবজাতকের মা তানিয়া বেগম নানীকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ হাটহাজারীর ফতেয়াবাদে অভিযান চালিয়ে নবজাতককে উদ্ধার ও তিনজনকে গ্রেফতার করে। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, তানিয়া বেগমকে তার স্বামী বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। গর্ভাবস্থায় তিনি তার মায়ের বাড়িতে অবস্থান নেন। এক সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে দারিদ্র্যতার কারণে তার মা রাবেয়া বেগম চিকিৎসা করতে অপারগ হন। পরে তিনি হারুন ও মনোয়ার বেগম নামের দুইজনের সঙ্গে বাচ্চাটি পাচারের পরিকল্পনা করে এবং তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে মোট ৫৭ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।
গত ২ অক্টোবর প্রসবের পর নবজাতক অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাবেয়া খাতুন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কৌশলে মেয়ে তানিয়াকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এরপর মঙ্গলবার দুপুরের কোনো এক সময় নবজাতকটিকে হারুন ও মনোয়ারার কাছে দিয়ে দেন। পরে নবজাতকের মা হাসপাতালে এসে শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে জানতে চাইলে রাবেয়া খাতুন জানান শিশুটি চুরি হয়ে গেছে। মায়ের কথায় সন্দেহ হলে তানিয়া থানায় ছুটে যান এবং নবজাতক অপহরণের মামলা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন