বেড়ানোর জন্য তারা দুই তরুণীকে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থানার চর ধাউরা কুঠিগ্রামে নিয়ে যায় এক তরুণ। নির্জন চরে নিয়ে রঞ্জুর নেতৃত্বে অপহরণকারীরা দুই তরুণীকে নির্যাতনের পর ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
বুধবার রাতে উত্তরবঙ্গের ভূরুঙ্গামারী থানার দুর্গম চরাঞ্চল থেকে র্যাব তাদের উদ্ধারের পাশাপাশি গ্রেপ্তার করেছে দুই অপহরণকারীকে। গ্রেপ্তার জুবাইদুর আলম ও আশরাফুল আলম একটি অপরাধীচক্রের সদস্য বলে র্যাব দাবি করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অন্য গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
র্যাব-১৩-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই আসামি অপহরণচক্রে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা ভূরুঙ্গামারী থানার চর ধাউরা এলাকায় অবস্থান নিয়ে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল।’
র্যাব জানায়, মোবাইল ফোনে যোগাযোগের সূত্রে ঢাকার দুই তরুণী গিয়েছিলেন কুড়িগ্রাম। গার্মেন্ট শ্রমিক পরিচয় দেয়া রঞ্জু মিয়া তাদের সেখানে ডেকে নেন। বন্ধুত্বের ফাঁদে ফেলে মুক্তিপণ আদায়ই ছিল রঞ্জু ও তার সহযোগীদের টার্গেট।
রঞ্জুর গ্রামের বাড়িতে বেড়ানোর জন্য ঢাকার আব্দুল্লাপুর থেকে বাসে করে ৩ অক্টোবর রাত ৯টায় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছেন দুই তরুণী। পরদিন সকালে রঞ্জু মিয়া দেখা করেন। এ সময় রঞ্জুর বন্ধু পরিচয়ে আরও কয়েকজন ছিলেন।
চরাঞ্চলে দুই তরুণীকে আটকে রাখার ঘটনা সোর্সের মাধ্যমে জানতে পেরে র্যাব বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অভিযান শুরু করে। তখন তরুণীদের নিয়ে অপহরণকারীরা পালানোর চেষ্টা করেন। র্যাবের টিম ঘটনাস্থল থেকে জুবাইদুর আলম ও আশরাফুল আলমকে আটকের পাশাপাশি দুই তরুণীকে উদ্ধার করে। এ সময় রঞ্জুসহ চক্রের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যান। র্যাব তাদের সন্ধানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন