বগুড়ার নন্দীগ্রামে কোশাস হাইস্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি শামিম হোসেনের মুষ্ঠাঘাতে তিনটি দাঁত হারালেন ভর তেঁতুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল ইসলাম দুদু (৫৫)। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পন্ডিত পুকুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কমিটির সভাপতি শামিম হোসেন লিটনের সঙ্গে ভর তেঁতুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল ইসলাম দুদুর হাতাহাতি হয়। এর একপর্যায়ে শামিম হোসেন প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল ইসলামের মুখে মুষ্টাঘাত করলে তার তিনটি দাঁত পড়ে যায়। গতকাল আহত সাজ্জাদুল ইসলাম দুদুকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাজ্জাদুল ইসলাম দুদুর স্ত্রী ও একই উপজেলার কোশাস উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মঞ্জুয়ারা জানান, লিটন ৪ জন শিক্ষক নিয়োগের বিষয় নিয়ে উত্তেজিত হয়ে নোটিশ খাতা ছিঁড়ে ফেলেন। তিনি মিটিং না করেই বিদ্যালয় থেকে চলে যান। ওই দিন সন্ধ্যায় আমার স্বামী দুদু পন্ডিত পুকুর বাজারে যান। ওই বাজারে লিটনের কাপড়ের দোকান আছে।
তার দোকানে গিয়ে নোটিশ খাতা ছিঁড়ে ফেলার কারণ জানতে চায়। এনিয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক বিতর্কের একপর্যায় শামিম হোসেন লিটন আমার স্বামীকে মারধর করে এবং মুখে মুষ্টাঘাত করলে তার সামনের তিনটি দাঁত পড়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লিটন বলেন, দুদুর সঙ্গে আমার হাতাহাতি হয়েছে। তিনি দোকান থেকে দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার সময় কলাপসিবল গেটে ধাক্কা লেগে দাঁত পড়ে যায়।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন