বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ঠিকাদারের দখলে স্কুলমাঠ

বড়াইগ্রাম (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম

নাটোরের বড়াইগ্রামের রামাগাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রায় আড়াই বছর ধরে একটি ব্রিজের নির্মাণ সামগ্রী ফেলে দখল করে রাখা হয়েছে। এতে স্কুলের স্বাভাবিক কার্যক্রমের বিঘ্ন ঘটাসহ স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকার তরুণ সমাজ খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে স্থানীয় নন্দকুজা নদীর উপরে পাশের বাগাতিপাড়া উপজেলা এলজিইডি’র উদ্যোগে ৯৯ মিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট একটি ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মীর আক্তার হোসেন লিমিটেড ব্রিজটি নির্মাণের দায়িত্ব পান। নির্মাণ কাজ শুরুর সময় থেকেই ঠিকাদারের লোকজন নদীর পুর্বপাড়ে বড়াইগ্রাম উপজেলার রামাগাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইট, পাথর, রড, ব্লকসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখেন। এরপর করোনাকালীন দীর্ঘ ছুটি শেষে গত মাসে স্কুল খুলে দেয়া হলেও এগুলো সরানো হয়নি। মাঠ জুড়ে এসব সামগ্রী ফেলে রাখায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকার উঠতি বয়সের কিশোর-তরুণরা খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুন ও জাকিয়া খাতুন জানায়, করোনার মধ্যে বাড়ি থেকে বের হতে পারিনি। এখন স্কুল চালু হওয়ায় আমরা খুশী। কিন্তু মাঠজুড়ে ব্রিজ নির্মাণের জিনিসপত্র রাখায় আমাদেরকে সারাক্ষণ শ্রেণীকক্ষেই আটকে থাকতে হয়। টিফিনে বা অন্য সময় একটু দৌঁড়ঝাপ করবো, বান্ধবীদের সাথে খেলাধুলা করবো সে সুযোগ পাই না। স্থানীয়রা জানান, আগে আমরা মাঠে খেলাধুলা করতাম। কিন্তু প্রায় আড়াই বছর যাবৎ মাঠ ঠিকাদারের লোকজনের দখলে, আমাদের খেলাধুলা বন্ধ চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, পাথর আর রডের টুকরার কারণে খেলতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনাও। প্রকল্পের তদারকিতে থাকা মীর আক্তার হোসেন লিমিটেডের প্রকৌশলী মিনহাজুল ইসলাম বাঁধন বলেন, এলাকার উন্নয়ন কাজ করার জন্যই মাঠে এসব সামগ্রী রাখতে হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হলে বিষয়টি নিয়ে কি করা যায় সেটা ভাবতে হবে। প্রধান শিক্ষিকা নাজমা খাতুন জানান, প্রথম থেকেই মাঠে নির্মাণ সামগ্রী রাখতে নিষেধ করেছি। কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনছেন না। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম রেজাউল হক বলেন, মাঠে এগুলো রাখায় শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার ব্যাঘাত ঘটছে। তাদেরকে কিছুদিন আগেও মালামাল সরিয়ে নিতে বলেছি। আমি আবারও তাদের সাথে কথা বলবো যেন তারা দ্রুত সব কিছু সরিয়ে নেয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন