নাটোরের লালপুরে একটি গাছে এক সঙ্গে তিনটি রাতের রানী নাইট কুইন ফুল ফুটেছে। সারাবিশ্বে রাতের রাণী হিসেবে পরিচিত ‘নাইট কুইন’ ফুল। আমাদের দেশে দুর্লভ প্রজাতির ফুল হিসেবেই গণ্য করা হয় নাইট কুইনকে। মিষ্টি মনোহারিণী সুবাস, দুধসাদা রঙ, স্নিগ্ধ ও পবিত্র পাপড়ি আর সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবেই পরিচিত নাইট কুইন। নাইট কুইন যে রাতে নিজেকে মেলে ধরে প্রকৃতির কাছে, সে রাতেই আবার ঝরে পড়ে। একটি ফুলের জন্য অপেক্ষা করতে হয় বছরের পর বছর।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুর্লভ এই ফুলটির দেখা মিলে লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামে সাংবাদিক আশিকুর রহমান টুটুল এর ফুল বাগানে। উদ্ভাসিত হলো বহু আরাধ্যের নাইট কুইন। ৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি অপেক্ষায় ছিলেন একটি ফুলের জন্য। বেশ কয়েকবার কলি এসেও ফুল ফোটার আগেই ঝরে পড়ে গেছে। কিন্তু এবার আর রাতের রাণী হতাশ করেননি তাকে। একটি গাছে এক সঙ্গে ৩টি রাতের রাণীর দেখা মিলেছে। সাংবাদিক আশিকুর রহমান টুটুল জানান, ৪ বছর আগে একটি বাড়ি থেকে নাইট কুইনের একটি পাতা এনে টবে লাগিয়েছিলেন তিনি। নিবির যত্নে গছটি বড় হয়ে মাঝে কয়েকবার কলি এলেও ফুল ফুটেনি। ৪টি বছর ধরে অপেক্ষার পরে গত জুলই মাসে প্রথম একটি গাছে এক সঙ্গে তিনটি ফুল ফুটে। তিন মাসের ব্যবধানে আজ রাতে আরো তিনটি ফুল ফুটেছে।
তিনি আরো বলেন, বিকেল থেকেই গাছে কলি তিনটি অদ্ভুত সুন্দর রূপে সাজে। যেন বুজে থাকা পদ্মফুল। ফুল ফোটা থেকে বুজে যাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি ধাপই রাত জেগে উপভোগ করেছি। আমি ছোট থেকেই ফুল পছন্দ করি। তবে পরিবারের সবাই মিলে মিষ্টি সুবাসের রাতের অতিথিকে উপভোগ করেছি। ফুলের মিষ্টি গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবেশিরা রাতের রাণীকে একবার দেখার জন্য ছুটে আসে তার বাসায়। তিন মাসের ব্যবধানে এক সঙ্গে তিনিটি ফুল ফোটায় তার পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত।
জানাগেছে, নাইট কুইনের বৈজ্ঞানিক নাম পেনিওসিরাস গ্রেজ্জি (Peniocereus greggii)। বিরল ক্যাকটাস জাতীয় এ ফুলটির বৈশিষ্ট্য অন্যান্য ফুলের তুলনায় একটু আলাদা। ফুলটির আদি নিবাস আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চালে এবং মেক্সিকোতে। দেখতে অনেকটা পদ্মফুলের মতো, সাদা রং ও মিষ্টি গন্ধ যুক্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন