নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : বন্দরে ছেলের অপকর্মের জন্য সাংবাদিক পিতাকে জেলে যেতে হয়েছে। গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় বন্দরের সাংবাদিক ফিরোজ খানের ছেলে মাদকসেবী রলি খান তার শাশুড়িকে পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় আহত শাশুড়ি ফরিদা বেগমের (৪৫) দেবর অহিদ সরদার পিতা-পুত্র ৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করে। পুলিশ এ মামলায় সাংবাদিক ফিরোজ খান ও তার বড় ছেলে রাজু খানকে গ্রেফতার করে। ছুরিকাঘাতকারী রলি খান পলাতক রয়েছে। আহত ফরিদা বেগম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
মামলার বাদি অহিদ সরদার জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত রুদ্রবার্তা পত্রিকার সাংবাদিক বন্দরের মদনগঞ্জ লক্ষারচর এলাকার ফিরোজ খানের মেঝ ছেলে রলির সাথে ৮ মাস পূর্বে একই এলাকার রইস উদ্দিন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া দুলাল মোল্লার মেয়ে ও তার ভাতিজী মেহেরুন নেছার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মেহেরুন নেছা জানতে পারে তার স্বামী একজন নেশাখোর। এ জন্য সে স্বামীর সংসার ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। গত সোমবার রাতে জামাতা রলি খান জোর করে স্ত্রীকে পিত্রালয় থেকে নিজ বাড়ি আনার জন্য গিয়ে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে রলি খান তার শাশুড়ির পেটে ৫টি ছুরিকাঘাত করলে পেটের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসে। সাথে সাথে বাড়ির লোকজন আহত শাশুড়ি ফরিদা বেগমকে দ্রুত নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, আহত ফরিদা বেগম ক্লিনিক্যাল ডেট, এ বিষয়ে মামলা নেয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ গ্রেফতারকৃত পিতা-পুত্রকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন