স্বামীকে জেল থেকে জামিনে বের করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন এক স্ত্রী। নিহত নারীর নাম সুমি বেগম (৩৮)। তার স্বামীর নাম শাহানাজ মিয়া (৪২)। তারা স্বামী-স্ত্রীর বাড়ি বিশ্বনাথ উপজেলার পার্শবর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার লামা লহরী গ্রামে। শনিবার রাত সাড়ে ১২টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত শেষে আজ রবিবার বিকেলে বিশ^নাথ থানাকে অবহিত করে লাশ দাফনের জন্য বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
নিহতের মেয়ে স্কুল পড়ুয়া মুন্নি আক্তার সাহেনা জানায়, প্রায় দেড় মাস আগে তার পিতা শাহনাজ মিয়াকে পুলিশ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে জেল হাজতে পাঠায়। একপর্যায়ে আমার বাবাকে জেল থেকে ছাড়াতে আমার মাকে সহযোগীতা করতে এগিয়ে আসেন আমার বাবার বন্ধু আলী আকবর। আলী আকবরের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জ থানা এলাকায়। সে বর্তমানে সিলেটের মোগলা বাজারে ভাড়া বাসায় থাকেন। আলী আকবর শনিবার সন্ধায় মোটর সাইকেল যোগে আমাদের বাড়ি থেকে আমার মাকে নিয়ে সিলেটের এক আইনজীবির বাসায় যাওয়ার কথা বলে নিয়ে যান। রাত সাড়ে ৯টায় আমার মোবাইলে ফোন করে জানায়, আমার মা এক্সিডেন্ট করেছেন। তাড়াতাড়ি ওসমানী হাসপাতলে আসতে হবে। তখন আমি আমার খালাত ভাই রেজাউলকে বিষয়টি জানাই। রেজাউল রাত সাড়ে ১০টায় হাসপাতালে গিয়ে আমার মাকে ক্ষত বিক্ষত মুমুর্ষ অবস্থায় দেখতে পান। তখন আলী আকবর রেজাউলকে জানায়, আমার মা এক্সিডেন্ট করেছেন। একথা বলে আলী আবকর হাসপাতাল থেকে ঔষধ আনার কথা বলে কৌশলে পালিয়ে গিয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। আমায় মায়ের সাথে থাকা ২৫হাজার টাকা, মোবাইল ও স্বার্ণালংকার পাওয়া যায়নি। আমাদের ধারনা ২৫ হাজার টাকা, স্বার্ণালংকার ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার জন্য আলী আকবর আমার মাকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করে এক্সিডেন্টের নাটক সাজিয়েছে। আমরা এই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করছি।
এদিকে নিহত সুমির লাশ নিয়ে মামলা দায়েরের জন্য বিশ^নাথ থানায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু হাসপাতালের সুরতহাল রিপোর্টে ঘটনাস্থল রশিদপুরে থাকায় তাদেরকে দক্ষিণ সুরমা থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন