ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রেমিকার বিয়ের দিনে বিষ পান করেছে প্রেমিক। রোববার দুপুরে ওই ঘটনাটি ঘটে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনো থানায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি।
জানা যায়, উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের মালিহাটি গ্রামের আব্দুল আহাদের মেয়ে শাহনাজ পারভীন স্বর্ণার সাথে পরিচয় হয় পার্শবর্তী ইউনিয়নের বড়জোড়া গ্রামের মো. হাসিম ভূইয়ার ছেলে আহসান (২৩) প্রেমিকার পাশের বাড়ির তার ফুফাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে পরিচয় হয় স্বর্ণার সাথে। সেই পরিচয় থেকে শুরু হয় প্রেমের সম্পর্ক। বিষয়টি স্বর্ণার পরিবার জানতে পেরে আহসানকে সতর্ক করে। এই অবস্থায় আহসানের পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখান করে স্বর্নার পরিবার। তারপরও চলতে থাকে আহসান ও স্বর্ণার প্রেম। এরই মাঝে স্বর্ণার বাবা একই গ্রামের মো. আবু তাহেরের ছেলে মো. ইসমাঈল হোসেনের সাথে বিয়ের দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আর সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক রোববার বিয়ের দিন ধার্য করা হয় এবং চলে বিয়ের আয়োজন। এরই মাঝে প্রেমিক আহসান জানতে পারে প্রেমিকা স্বর্ণার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। এমন খবর পেয়ে রোববার দুপুরে আহসান বিষের বোতল হাতে নিয়ে প্রেমিকা স্বর্ণার বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলা অবস্থায় বিষ পান করে। পরে তাৎক্ষণিক স্বর্নার পরিবারের লোকজন তাদের বাড়ি থেকে আহসানের ফুফাতো বোন নাছিমার বাড়ির সামনে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে আসে। ভাইয়ের এমন অবস্থা দেখে নাছিমা তার ছেলে দ্বীন ইসলামকে দিয়ে ফোনে খবর দেয় আহসানের বাড়িতে। পাশাপাশি পুলিশকেও জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও পরিবারের লোকজন আহসানকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে হাসপাতালের ১৪ নাম্বার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই অবস্থায় রোববার সন্ধার পর স্বর্ণার বাবা বিয়ের অনুষ্ঠান শিথিল রেখে সাধাসিধে ভাবে মেয়েকে বরের হাতে তুলে দিয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন