খুলনা ব্যুরো : মাওয়ায় পদ্মা সেতু নির্মাণের একক কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার। শত বাঁধা-বিপত্তি মধ্যে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে তিনিই সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে যাচ্ছেন। দক্ষিণাঞ্চলবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি বঙ্গবন্ধু কন্যাই বাস্তবায়ন করেছেন। ফলে এ সেতুর সুফল হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন সহজতর হবে, তেমনি মংলা বন্দরের গতিশীলতা বাড়বে। এমনটিই মনে করে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ। সে কারণেই এই সেতুর নাম শেখ হাসিনার নামে নামকরণের জন্য জেলা আওয়ামীলীগ দাবি জানিয়েছে।
কেন্দ্রীয় সম্মেলন উপলক্ষ্যে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা সাংগঠনিক প্রতিবেদনে এ দাবিকে প্রাধান্য দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় দপ্তরের এ প্রতিবেদন ইতোমধ্যেই পাঠানো হয়েছে। সাংগঠনিক রিপোর্টে বলা হয়, এ সেতু নির্মাণের জন্য দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে দাবি তোলে। পক্ষে-বিপক্ষে নানা কথা উঠে বিভিন্ন সময়ে। সকল বাঁধাকে উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সেতু নির্মাণ কাজ এখন দৃশ্যমান। বর্তমান সরকারের বড় সাফল্য মাওয়ায় পদ্মানদীর ওপর সেতু। নামকরণের যুক্তিযুক্ত কারণ হিসেবে এসব তথ্য উল্লেখ্য করা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদকের সাংগঠনিক রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে-খুলনায় বিমান বন্দরের দাবি উঠে ১৯৬৫ সাল থেকে। সফলতা আসেনি দীর্ঘদিনেও। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মংলা বন্দরের অদূরে ফয়লায় পীর খানজাহান আলী (রহঃ) বিমান বন্দরের জন্য সরকার বরাদ্দসহ ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণের জন্য খুলনা-মংলা ৬৫ কিলোমিটার রেল লাইন নির্মাণ বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে রিপোর্টে উল্লেখ্য করা হয়েছে। যা রপ্তানি বাণিজ্যের স্বর্ণযুগ সৃষ্টি করবে। সেই সাথে তেরখাদা ও বটিয়াঘাটায় অর্থনৈতিক জোন শিল্পায়নে সহায়ক ও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। কেন্দ্রীয় সম্মেলনের জন্য জেলার ২২৮জন ডেলিগেট ও ৭৩জন কাউন্সিলরের নাম চুড়ান্ত করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন