চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মন্দিরে হামলা ও পুলিশ জনতার সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। তিন মামলায় দুই হাজার জনকে আসামি করা হয়। হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশীদ এ ব্যাপারে জানান, উপজেলায় মোট ১২টি পূজামণ্ডপ ভাঙচুর হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও মন্দির ভাঙার দায়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ একটি মামলা করেছে।
এদিকে জনতা-পুলিশের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে, বুধবার রাতে হাজীগঞ্জ বাজারে পুলিশ ও জনতার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিতে নিহত ৪ জন বাবলু, আল আমিন, শামীম ও হৃদয়ের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
কুমিল্লায় মন্দিরে পবিত্র কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে গত বুধবার রাতে একটি বিক্ষোভ মিছিল হাজীগঞ্জ বাজারে আসে। ওই সময় এশার নামাজ শেষে মুসল্লীদের একটা অংশ মিছিলে যোগ দেয়। হাজীগঞ্জ বাজারের জিউর আখড়ায় পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সাথে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিতে ৪ জন নিহত হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে হাজীগঞ্জ বাজারের কয়েকটি পূজা মণ্ডপ হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ এমপি। তিনি হাজীগঞ্জ বাজারের লক্ষী নারায়ণ জিউর আখড়ায় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের বলেন, এই অপশক্তিকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। সুস্থ ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিরা এমন হামলা করতে পারে না। অপশক্তিরাই হামলা করেছে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
ওইসময় চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় একাধিক মামলা হবে। এখন পর্যন্ত হাজীগঞ্জে ৭ জন, কুমিল্লায় ৪৩ জনসহ চট্টগ্রাম রেঞ্জে ৭৩ জনকে আটক করা হয়েছে। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে ৫ সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন