হয় ভাড়া কমাতে হবে, নাহলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে। আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের এমন হুমকিতে কাবুলের সঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করে দিয়েছে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস (পিআইএ)। তারা দাবি করেছে, তালেবানের কঠোরতা ও নিজেদের কর্মী হয়রানির কারণেই ফ্লাইট বন্ধের মতো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতায় যাওয়ার পর বিদেশি বিমানসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবার আগে কাবুলের সঙ্গে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু করে পিআইএ। কিন্তু টিকিটের দাম আগের থেকে অনেক বাড়িয়ে দেয় তারা। তাই দাম কমানোর নির্দেশ দেয় তালেবান সরকার। কিন্তু পিআইএ সেই দাবি মানেনি। তাই তালেবানের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে বৃহস্পতিবার থেকে তারা নিজেরাই ফ্লাইট স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আফগানিস্তান থেকে বাইরে যেতে একমাত্র ভরসা পিআইএ ফ্লাইট। ফ্লাইট চলাচল স্থগিতের বিষয়ে পাকিস্তান এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র আবদুল্লাহ হাফিজ বলেন, ‘কাবুল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অপেশাদার আচরণের কারণে ফ্লাইট পরিচালনায় আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্ট কালের জন্য ফ্লাইট বন্ধ রাখা হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বীমা ছাড়া আর কোনো বিমান কাবুলে যাবে না।’
এর আগে তালেবান প্রশাসন তাদের নির্দেশনা না মানলে কাবুলে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা পিআইএ’র কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়। তারা অভিযোগ করে, বিকল্প না থাকার সুযোগে নানা অজুহাতে পিআইএ টিকিটের দাম অনেক বেশি নির্ধারণ করেছে, যা বেশিরভাগ আফগান নাগরিকের নাগালের বাইরে। তালেবানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কাবুল থেকে ইসলামাবাদের মাত্র ৪০ মিনিটের পথে পাকিস্তান এয়ারলাইন্স টিকিটের দাম ১২শ’ ডলার বা প্রায় ১ লাখ টাকা থেকে থেকে আড়াই হাজার ডলার বা প্রায় ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে। তালেবান ক্ষমতায় আসার আগে যা ছিল ১২০-১৫০ ডলার বা ১০ থেকে ১৩ হাজার টাকার মধ্যে। বতর্মান পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান থেকে অন্য কোনো দেশে যাওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা না থাকার সুযোগে পিআইএ এমন অন্যায্য দাম নির্ধারণ করেছে।
এ পরিস্থিতিতে আফগান পরিবহন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, টিকিটের দাম ইসলামিক আমিরাতের বিজয়ের আগের দামের সাথে সামঞ্জস্য করতে হবে অথবা ফ্লাইট বন্ধ করা হবে। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। প্রসঙ্গত, গত ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখলের পর আন্তর্জাতিক সব ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে পাকিস্তান এয়ারলাইন্সই কাবুলে বিশেষ ফ্লাইট চালু করে। সূত্র : ট্রিবিউন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন