তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান সম্প্রতি ইসলাম বিদ্বেষী ও সংবিধান পরিপন্থি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা’ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার পরিণাম শুভ হবে না। বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে বলেছেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ ইসলাম বিদ্বেষী ও সংবিধান পরিপন্থী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা’অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। বিবৃতিতে সংগঠন এর আমীর আল্লামা সারওয়ার কামাল আজিজী, মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল মাজেদ আতহারী, নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান চৌধুরী, সংগঠন সচিব হাফেজ মাওলানা আবু তাহের খান, অর্থ সচিব হাজী এ কে এম কামরুল বারী, সহকারী অর্থ সচিব হাজী আনোয়ারুল কবীর এ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবিধানের মূলনীতির অংশ রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামকে বাদ দেয়ার স্পর্ধা দেখিয়ে ও ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে তিনি তার শপথ ভঙ্গ করেছেন। মানসিক ভারসাম্যহীন এ ধরনের ব্যক্তির মন্ত্রী পরিষদে থাকার কোন অধিকার নেই। এ ধরণের ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্যের দায়ভারও সরকারকে নিতে হবে। দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানের আবেগ অনূভূতিতে আঘাত করার পরিণাম শুভ হবে না বলেও নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
জাতীয় সংহতি মঞ্চের প্রধান সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা একে এম আশরাফুল হক গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম দেশের ৯২ শতাংশ জনগণের ঈমান, আকিদা, বিশ্বাস ও অনুভূতির সাথে সম্পৃক্ত। তাই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের অনুভূতি ও বিশ্বাসের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখিয়ে বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রাখা হয়েছে। যা এদেশের জাতিসত্তার পরিচয় বহন করে। যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের অনুভূতি বুঝতে সক্ষম নয়, যারা রাষ্ট্রীয়ভাবে মুসলিম পরিচিতি বাদ দিতে চায়, যারা মুসলিম জাতিসত্তা মুছে দিতে চায় তারাই কেবল রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে।
তিনি আরে বলেন, দায়িত্বশীল জায়গা থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের বিরুদ্ধে এমন অসাংবিধানিক বক্তব্য মানায় না। কেউ ইচ্ছা করলেই সংবিধান থেকে রাষ্টধর্ম ইসলাম বাদ দিতে পারবে না বলেও এসময় তিনি মন্তব্য করেন। কারণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করান। এতে কয়েকটি অনুচ্ছেদকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো হিসাবে নির্ধারণ করা হয়। এই মৌলিক কাঠামো কারো পক্ষেই সংশোধন করা সম্ভব নয় বলেও তিনি বলেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম হচ্ছে, সংবিধানের প্রথম ভাগের অংশ (২ক)। আর সংবিধানের প্রথম ভাগ হলো সংশোধন অযোগ্য। সুতরাং কোনো দল বা গোষ্ঠী, আদালত, এমনকি জাতীয় সংসদ চাইলেও সংবিধানের মৌলিক কাঠামো সংশোধন করতে পারবে না। কেউ যদি মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করে, তাহলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন