শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে সাঈদ খোকনের বক্তব্য ভাইরাল

শাহেদ নুর | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ৭:৫০ পিএম

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘২/১ দিন আগে একজন প্রতিমন্ত্রী মহোদয়কে বলতে দেখলাম, আমি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে দেবো। সংসদে তুলবো। ওনি এটা কি বললেন? আরে ভাই রাষ্ট্র তো অনেক বড় ব্যাপার, সতেরো কোটি মুসলমানের দেশ। ৯৫ শতাংশ মুসলমান। রাষ্ট্র তো অনেক দূরের ব্যাপার, সাহস থাকলে বলে না, আমি নিজেকে ইসলামের থেকে খারিজ করে দিলাম। কলিজার পাটা যদি থাকে বলেন, আমি ইসলাম মানি না।’

শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদীসের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সতর্ক করে সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘ইসলাম থেকে নিজেকে ত্যাগ করে দেখেন ২ দিন মন্ত্রী থাকতে পারেন কিনা বাংলাদেশে! এমপি থাকতে পারেন কিনা!’

সাঈদ খোকনের প্রশ্ন, ‘ওরে ভাই, আপনি বাদ দিয়ে দিবেন, আপনি কি দলীয় ফোরামে আলোচনা করেছেন? আপনি একজন প্রতিমন্ত্রী, আপনি কি মন্ত্রীসভার বৈঠকে আলোচনা করেছেন? আপনি একজন সংসদ সদস্য, আপনি কি স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা করেছেন? কোন ফোরামেই করেন নাই। বলে দিলেন, আমি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম মানি না, এটাকে বাদ। বড় বড় কথা বলেন। সরকারের অনুমতি নেন নি, দলের অনুমতি নেন নি, প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নেন নি। ফস করে একথা বলে দিলেন! এর দায় কি দল নিবে? সরকার নিবে?’

তিনি বলেন, ‘নিজেকে মুসলমান দাবি করেন, ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলবেন। মানুষ চিৎকার করলে বলবেন, মানুষ চেচামেচি করে! এটা কি রকম কথা? এটা কি মুসলমানের কাজ হলো? কোন মুসলমান এটা করতে পারে?’

তিনি আরও বলেন, ‘এদেরকেই আমি বলি, নামে মুসলমান, কিন্তু ইসলামবিরোধী মানুষ। এরা লুকিয়ে থাকে! বাপ-দাদা একটা নাম দিয়ে দিয়েছে মুসলমান, আর যত কথা আছে ইসলামের বিরুদ্ধে। তোমার ইসলাম ভালো না লাগে, ছেড়ে চলে যাও; কেউ তোমাকে বেঁধে রাখবে না। এদেশে কোটি কোটি মুসলমান আছে। দাবি করবা মুসলমান, ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলা; এটা আমরা মানবো না।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বক্তব্যের ভিডিও ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের সাক্ষাৎকারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে তাঁকে বলতে দেখা গেছে, ‘ইসলাম আমাদের রাষ্ট্রীয় ধর্ম না। এটা বিশ্বাস করি না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সংবিধান লিখে গেছেন, সেই সংবিধানই থাকবে। ......... এই বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। বাহাত্তরের সংবিধানেই আমরা ফিরে যাবো।’ এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সাঈদ খোকন এসব কথা বলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Md. Mustafizur Rahman ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ১০:১৫ পিএম says : 0
সব আবেগ! কোথাও কোন সত্য বা ন্যায়সঙ্গত পর্যালোচনা নাই!
Total Reply(0)
Simul Sikder ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ১০:১৫ পিএম says : 0
সঠিক কথাই বলছে উনি
Total Reply(0)
Md Raihan Uddin ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ১০:১৫ পিএম says : 0
ইসলামের বিজয় সুনিশ্চিত
Total Reply(0)
Shahin Alom ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ১০:১৬ পিএম says : 0
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি "" অবিলম্বে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত কারী প্রতিমন্ত্রী মুরাদের পদত্যাগ ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি "" সেই সাথে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি "" সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন ভাইকে।
Total Reply(0)
Downstate Båbů ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ১০:১৬ পিএম says : 0
ভিন্ন ধর্মের চেয়ে নিজ ধর্মের থাকা মুনাফিকরাই ইসলামের জন্য বেশি ক্ষতিকর।
Total Reply(0)
Mohammed Saiful Islam ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ১০:১৬ পিএম says : 0
ধন্যবাদ আপনাকে সময় উপযোগী একটি কথা বলার জন্য ‌
Total Reply(0)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ১০:৪০ পিএম says : 0
বাহাত্তরের সংবিধানে কি লেখা ছিল,রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি বাতিল করে,দলীয় আমলাতান্ত্রিক সংসদীয় পদ্ধতি করার জন্য,বুজলাম এরশাদ সামরিক শাসন দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে,সেই জন্য তাকে চৌরাচার বলে জনগণ প্রত্যক্ষান করেছে,কিন্ত রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি যে ছিল সংবিধানে সেটা কি সত্য না কি মিথ্যা,রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি যে ছিল সংবিধানে,সেই রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি কি অন্যায় করেছে,করেছে সামরিক বাহিনীর শাসকেরা,আসলেই সবাই সংবিধান সংবিধান বলে,সব কিছু আসলেই মিথ্যা,সবাই সারথ পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক আমলারা চিন্তা করেছে যদি রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি সংবিধানে থাকে,তবে রাষ্ট্র পতি যেই হবে একজন হবে,কিন্তু আমাদের উপায় কি ,রাষ্ট্রপতির ইচ্ছা মতে মন্ত্রী পরিষদ গঠন করে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে,সেখানে জ্ঞানী গুনী বেকতিগত ঠাই পাবে,...
Total Reply(0)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ১৭ অক্টোবর, ২০২১, ১০:৪২ পিএম says : 0
বাহাত্তরের সংবিধানে কি লেখা ছিল,রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি বাতিল করে,দলীয় আমলাতান্ত্রিক সংসদীয় পদ্ধতি করার জন্য,বুজলাম এরশাদ সামরিক শাসন দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে,সেই জন্য তাকে চৌরাচার বলে জনগণ প্রত্যক্ষান করেছে,কিন্ত রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি যে ছিল সংবিধানে সেটা কি সত্য না কি মিথ্যা,রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি যে ছিল সংবিধানে,সেই রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি কি অন্যায় করেছে,করেছে সামরিক বাহিনীর শাসকেরা,আসলেই সবাই সংবিধান সংবিধান বলে,সব কিছু আসলেই মিথ্যা,সবাই সারথ পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক আমলারা চিন্তা করেছে যদি রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি সংবিধানে থাকে,তবে রাষ্ট্র পতি যেই হবে একজন হবে,কিন্তু আমাদের উপায় কি ,রাষ্ট্রপতির ইচ্ছা মতে মন্ত্রী পরিষদ গঠন করে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে,সেখানে জ্ঞানী গুনী বেকতিগত ঠাই পাবে,আমাদের কি উপায় হবে,আমরা দেখেছি খালেদা জিয়া সেখ হাসিনা তিন দিন বেঠক করেছেন,বংগে ভবনে সুগন্ধায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায়,সাংবাদিক মিডিয়া কেউ ছিল না,দুইজন এই ভাবে তিন দিন শলাপরামর্শ করেছেন,পতিদিন উনারা দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে নিজের দলের দলীয় রাজনৈতিক আমলাদের সাথে যুক্তি পরামর্শ করতেন,চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে দলীয় ভাবে দলীয় আমলা তান্ত্রিক সংসদীয় পদ্ধতি করেছন,সব কিছু লুট পাঠ করে খাওয়ার জন্য,এরা চিন্তা করেছে এখন যদি এই বুদ্ধি না করে থাকি ,তাহা হলে সংসদে এরশাদের সময় ইসলামী দলগুলো সাতচল্লিশ হইতে ষাট আসন ছিল,যদি রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি থাকে হয়তো ইসলামী দলগুলো ক্ষমতায় এসে যাবে,এই চিন্তা ভাবনা করেই রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি বাতিল করেছে বি এন পি আওয়ামী লীগ,এখন এদের মুখে কি সুন্দর কথা আমরা মুসলমান ,কিন্তু ঐ সময় ছোরা যুক্তি ছিল একমাত্র ইসলামী শাসন যেন না আসতে পারে,এরা চিন্তা করেছে রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি থাকলে এই দেশে যে ভাবে ইসলামী দলগুলো এগিয়ে আছে,এবং ইসলামী দলগুলো ক্ষমতায় গেলে ইসলামী শাসন আরম্ভ হবে,ইসলামী শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্র প্রধান মহিলা নেই,এই জন্যই সংবিধান বদলি করে রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি বাতিল করে সংসদীয় পদ্ধতি করেছেন,সব কিছু দলীয় করন হবে দলীয় ভাবে দলীয় আমলা তান্ত্রিক সংসদ হবে,লুঠ পাট করে সব খাবে,ইসলামী শাসন আর আসতে পারবে না,মৌলবাদী উগ্র বাদী বলে ইসলামী দলগুলির বড় বড় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা মকদ্দমা অথবা রাজাকার বলে অত্যাচার অবিচার হত্যা ঘুম খুন করতেই থাকবে এবং কথা বললেই গুলি চালাবে এবং অযথা মামলা দিয়ে জেলে রাখা আর কি,এরা আসলেই ইসলাম ইসলাম বলেন কিন্তু ঐ সময় ইসলাম কে দাফন করেছেন পলিটিক্স করে,এরা মনে করে এরাই সব কি বুজেন আর কেউ বুজে না,যত দিন আওয়ামী লীগ বিএনপি ক্ষমতায় থাকবে ততদিন ইসলামের উপর যুলুম চলতেই থাকবে,শুধু ক্ষমতার জন্য,দেখি সাহস থাকলে সংসদীয় পদ্ধতি বাতিল করে আবার বাহাত্তরের সংবিধানের আইন অনুযায়ী রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি করুন,দেখবেন ইসলামী শাসন আসে কি না অবশ্যই আসবে,কিন্তু সেটা রাজনৈতিক ক্ষমতাশালী আমলারা দিবে না।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন