দেশের স্বার্থে মানবপাচার আইনের কতিপয় ধারা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন বায়রার ভুক্তভোগী সদস্যবৃন্দ। গতকাল রোববার রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতানের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পেশকৃত এক স্মারকলিপিতে বায়রার সদস্যরা এ দাবি জানান। স্বারকলিপিতে প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে বলা হয়, সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় দেশের বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহ ইতিমধ্যে ১ কোটি ২৫ লাখের অধিক নারী পুরুষ কর্মীকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানের সুব্যবস্থা করেছে। যাঁর মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর মধ্যেও দেশের অর্থনিতির চাকা সচল রাখাসহ বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।
দেশের স্বার্থে অসামান্য অবদান রাখা রিক্রুটিং এজেন্সিসমূহ সরকারের যথাযথ বিধিবিধান প্রতিপালন করে বিএমইটি থেকে স্মার্ট কার্ড গ্রহণ করে কর্মী প্রেরণ করছে। মানব পাচার ও দমন আইন ২০১২ এর অপব্যবহার করে জামিন অযোগ্য ধারায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকবৃন্দের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করার ফলে অর্থনীতির জন্য এমন গুরুত্বপূর্ণ খাতটি এখন মারাত্মক ভাবে হুমকির মুখে।
জনশক্তি রপ্তানি খাতকে সার্বিক নিয়ন্ত্রণের জন্য বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন ২০১৩ প্রণয়ন করা হয়। কর্মী অথবা তার অভিভাবকদের অভিযোগের ক্ষেত্রে অভিবাসী আইন -২০১৩ অনুসরণ না করে ঢালাওভাবে বৈধ কর্মসংস্থানকেও মানব পাচার ও দমন আইন এর অপব্যবহার এর কারণে অসংখ্য রিক্রুটিং এজেন্সি মালিক নানা হয়রানির দরুন এ ব্যবসা ছেড়ে দেয়ার চিন্তা ভাবনা করছেন।
ফলে দেশের স্বার্থে আপনার ভিশন বাস্তবায়ন ও প্রতিটি উপজেলা হতে ১০০০ নারী পুরুষ কর্মী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানসহ কর্মী প্রেরণে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অবিলম্বে মানবপাচার আইনের কতিপয় ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়ে শ্রমবাজারের অগ্রগতি অক্ষুন্ন রাখার অনুরোধ জানানো হয়। প্রতিনিধি দলে আরো উপস্থিত ছিলেন, লিমা বেগম, কবির হোসেন, আরিফুর রহমান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন