২০২১ সালে দরপতনের পরও উত্তরাঞ্চলে আলু চাষে কৃষক পর্যায়ে উৎসাহের কোন ঘাটতি নেই। বরং ধুমসে চলছে আলু রোপনের কাজ। বিশেষ করে বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলায় ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে আগাম আলুর চাষাবাদ। কার্ত্তিকে লাগানো এই আলু উঠবে নবান্নের বাজারে ।
সোমবার বগুড়ার আঞ্চলিক কৃষি দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় , বগুড়া, জয়পুরহাট,পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় ২০২১-২২ সালে ১০ লাখ ২৮ হাজার ২০ হেক্টরে আলু আবাদের বিপরীতে ২০ লাখ ৩০ হাজার ৫৪০ মেট্রিকটন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এই দপ্তরের কৃষি পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আজিজার রহমান জানিয়েছেন এখন পর্যন্ত চাষি পর্যায়ে যে উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হবে বলেই তাদের ধারণা ।
তিনি জানান,গত বছর এই অঞ্চলে ২০ লাখ ২৪ হাজার ৮৪ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়। বগুড়ার আলু চাষিরা জানিয়েছে , প্রায় প্রতিবছরই তাদের আলু বীজ সংকট এবং বীজের অগ্নি মুল্য পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় । তবে এবছর আলু বীজের সংকট নেই দামও রয়েছে স্বাভাবিক। তবে সার ও কীট নাশকের দাম বেড়েছে । ফলে বিঘা প্রতি উৎপাদন খরচ বেড়ে গড়ে তা’ ১৫/১৬ হাজারে দাঁড়াবে। নবান্নের বাজার বাজার ধরতে ৩০ /৩৫ দিন পর এই আলু ক্ষেত থেকে তুললেও বিঘা প্রতি ফলন পাওয়া যাবে ২০/২৫ মন। পাশাপাশি পুর্ণ মেয়াদে অর্থাৎ ৬০/৭০ দিনে এই আলু তুললে বিঘা প্রতি ৬০ / ৭০ মন আলুই পাওয়া যাবে ।
এবছর বগুড়ায় ৫৮ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের বিপরীতে ১১ লাখ ৮৭ হাজার ৮২২ মেট্রিক টন , জয়পুরহাটে ৪০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের বিপরীতে ৭ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩১ মেট্রিক টন, পাবনায় ৯৭০ হেক্টর জমির বিপরীতে ১৬ হাজার ৮৭৮ মেট্রিক টন এবং সিরাজগঞ্জে ২৯ হাজার ৯০০ হেক্টরে আবাদের বিপরীতে ৪৯ হাজার ৯০৯ মেট্রিক টন আলুর ফলন হবে বলে আশাবাদি কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগন ।
উল্লেখ্য গত বছর বগুড়া কৃষি অঞ্চলে আলু উৎপাদন হয়েছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ৮৪ মেট্রিক টন আলু ।
মহসিন রাজু , বগুড়া ব্যুরো , ১৮-১০-২১
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন