বগুড়ায় প্রেমিকের মান অভিমানের পর এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার রাতে শহরের বৃন্দাবনপাড়ার এক ছাত্রীনিবাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতে প্রেমিকার লাশ দেখে বগুড়ার জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের চতুর্থ তলা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন প্রেমিক। এ ঘটনায় তার একটি হাঁটু ভেঙে গেছে। বর্তমানে বেঁচে যাওয়া প্রেমিক ওই হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সদর থানার ওসি সেলিম রেজা এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ছাত্রীর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় কোনও অভিযোগ আসেনি।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া প্রেমিকা জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি শহরের বৃন্দাবনপাড়ার এক ছাত্রীনিবাসে থেকে বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশোনা করতেন। অন্যদিকে তার প্রেমিক কুষ্টিয়া সদরের দহকুলা গ্রামের বাসিন্দা। কিছুদিন আগে ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
রোববার কুষ্টিয়া থেকে বগুড়ায় এসে কলেজছাত্রীর সঙ্গে দেখা করে তার প্রেমিক। পরে তাদের মধ্যে ঝগড়া ও মান অভিমান হয়। এ ঘটনায় ছাত্রীনিবাসে ফিরে ওই কলেজছাত্রী বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্য ছাত্রী ও বান্ধবীরা তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। এ সময় শোকে বিহব্বল প্রেমিক হাসপাতাল ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। এতে তার এক পায়ের হাঁটু ভেঙে গেছে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে।
বগুড়া সদরের ওসি তদন্ত আবুল কালাম আজাদ সোমবার বলেন, দুজনের পরিবারই খবর পেয়ে বগুড়ায় এসেছে। তাদের বুঝিয়ে শান্তনা দেওয়া যাচ্ছে না। তবে কলেজছাত্রীর বাবা জানান, মেয়ের সঙ্গে অন্য কারও সম্পর্কের বিষয়ে তিনি কিছু জানতেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন