শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গ্রেপ্তারের ২৬ ঘণ্টা পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১

প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় গ্রেপ্তার করার প্রায় ২৬ ঘণ্টা পর পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মানিক মিয়া (৩৬) নামের সন্দেহভাজন এক ডাকাত নিহত হয়েছে। পুলিশ বলছে, মানিক মিয়া আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার ছিলেন। তিনি ‘হাতভাঙ্গা মাইনকা’ নামে পরিচিত ছিলেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মানিক নিহত হন। গত বুধবার রাত ১১টার দিকে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। মানিকের বাড়ি উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নে।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপক কুমার সাহার ভাষ্য, বুধবার রাত ১১টার দিকে মানিকের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একদল ডাকাত উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের লম্বাহাটি গ্রামে তিতাস নদীর পাড়ে এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় গ্রামবাসী চিৎকার শুরু করেন। একপর্যায়ে পুলিশ ওই গ্রামে যায়। সেখানে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ মানিকসহ সাতজনকে অস্ত্রসহ আটক করে।

ওসি রূপক জানান, মানিক মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সরাইল থানার একদল পুলিশ উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে তল্লাশির জন্য যাচ্ছিল। রাত একটার দিকে ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁও এলাকায় একদল ডাকাত মানিককে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। ডাকাত ও পুলিশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলি চলে। এ সময় ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে মানিক গুরুতর আহত হন। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা মানিক মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সরাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলীম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমজাদ হোসেন ও শাহ আলম, কনস্টেবল রবিউল আলম ও ফারুক মিয়া আহত হন। তাঁদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

রূপক কুমার সাহার ভাষ্য, মানিক আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার ছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুটি পাইপগান, দুটি তাজা কার্তুজ, দুটি খোসা, দুটি ছোরা ও পাঁচটি কালো কাপড় উদ্ধার করেছে। মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে সরাইল থানায় হত্যা ও ডাকাতির অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে। আরও দুটি মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন