শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ ও দোষীদের বিচারের দাবিতে ভোলায় মানববন্ধন

ভোলা জেলা সংবাদদাতা। | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২১, ৭:১১ পিএম

'সচেতন, সংগঠিত ও সোচ্চার জনগোষ্ঠীই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি, মন্দির ও ম-পে হামলা, অগ্নিসংযোগ, প্রতিমা ভাঙচুর, নারী নির্যাতন, পূজারী হত্যা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ এবং দোষীদের বিচারের দাবিতে ভোলায় শান্তি সম্প্রীতি সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে ভোলা সদর রোডে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক ও ভোলা জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই সম্প্রীতি সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীপেশার মানুষ এতে অংশ গ্রহণ করেন।
হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের আহবায়ক অবিনাশ নন্দীর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুজনের জেলা উপদেষ্টা মোবাশ্বের উল্ল্যাহ চৌধুরী,সদস্য মনিরুল ইসলাম, ভোলা প্রেসক্লাব সভাপতি এম হাবিবুর রহমান, দৈনিক আজকের ভোলার সম্পাদক মুহাম্মদ শওকাত হোসেন, সাবেক পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ দুলাল চন্দ্র ঘোষ, সাবেক অধ্যক্ষ ফারুকুর রহমান, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ রায় অপু, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের নির্বাহী সদস্য শিপু কর্মকার, সদস্য সচিব ধ্রুব হালদার, কানাই পাল বিপ্লব প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বলেন, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এটা নতুন কোন ঘটনা নয়, এটা বাংলাদেশে বারবার হয়ে আসছে। আর বারবারই অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই ধর্ম অবমাননাকে কেন্দ্র করে দেশের চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নিয়ে গঠনমূলক বক্তব্য প্রদানের পাশাপাশি কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টকারী দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান তারা। সকল ধর্মের মানুষের ধর্মীয় সহাবস্থান নিশ্চিত করে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলেন।
পাশাপাশি সমাবেশ ও মানববন্ধনে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করা,সহিংসতার ঘটনাগুলোয় জরিতদের নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা, দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারিক প্রক্রীয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা, রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, পর¯পরকে দোষারোপের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিহার করার দাবি জানান বক্তারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন