শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

ভ্রাম্যমাণ আদালতে অপরাধীদের শাস্তি দেয়ায় খুলনায় প্রাইভেট হাসপাতাল-ক্লিনিকে ধর্মঘট

প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

খুলনা ব্যুরো : র‌্যাব-১ ও ৬ এর যৌথ অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে খুলনা মহানগরীর কয়েকটি প্রাইভেট হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার মালিক-কর্মচারীদের দÐ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এর প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার খুলনার প্রাইভেট হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ব্যক্তিগত চেম্বার বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করেছেন চিকিৎসকরা। এ ধর্মঘট চলবে আগামীকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত। ফলে সরকারি ছুটির দিনে প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডাক্তারদের চেম্বার বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
উল্লেখ্য, নগরীর গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বেসরকারি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ওষুধের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নামে হয়রানি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে এ ধর্মঘট পালন করছেন চিকিৎসকরা। বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ), বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্রাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমপিএ) এবং বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিসিডিওএ) ডাকে এ ধর্মঘট পালিত হচ্ছে।
বিএমএ খুলনার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, ‘র‌্যাবের অভিযানের বিরুদ্ধে নই আমরা। কিন্তু অভিযানের নামে অযৌক্তিক হয়রানি ও দÐ আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। সিভিল সার্জনের অনুমতি ছাড়া এ ধরনের অভিযানের নিয়ম নেই। বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় বৈঠকে প্রশ্নবিদ্ধ এ অভিযানের প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা প্রাইভেট হাসপাতাল-ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার-চেম্বার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। (আজ) শনিবার দুপুর ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গত বুধবার বিভিন্ন অভিযোগে র‌্যাব-১ ও র‌্যাব-৬ যৌথভাবে গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে হাসপাতালের ৬তলার প্যাথলজি থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ২৩ ব্যাগ রক্ত, বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্টসহ (প্যাথলজি পরীক্ষার কেমিক্যাল) অন্যান্য ওষুধ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরিবর্তে টেকনিশিয়ানের স্বাক্ষর করা প্যাথলজি রিপোর্ট উদ্ধার করা হয়। এসব অপরাধে হাসপাতালের মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. গাজী মিজানুর রহমানসহ ৫জনকে র‌্যাবের কাস্টডিতে নেয়া হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছিল।
এছাড়া একইদিনে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে খুলনা হেলথ গার্ডেনের মালিক খন্দকার আহসান উল্লাহকে এক লাখ টাকা এবং প্যাথলজি টেকনোলজিস্ট মো. হাফিজুর রহমানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর নিরালা এলাকায় অনুমোদনবিহীন ওষুধ তৈরির অপরাধে ইউনিটি ফার্মাসিউটিক্যালসকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে, র‌্যাবের চলমান অভিযানে স্বস্তি ফিরে এসেছে খুলনার সাধারণ মানুষের মাঝে। তারা এ ধরণের অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়েছেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন