স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : আশুলিয়ার বাইপাইল বসুন্ধরারটেক এলাকায় র্যাবের জঙ্গি বিরোধী অভিযানের সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকারী নিহত জেএমবির নব্য অর্থদাতা আব্দুর রহমান (৩২) ওরফে রাকিবুল ওরফে সারোয়ার হোসেন ওরফে নাজমুল হক ওরফে এনামুল হকের স্ত্রী মোসাম্মত শাহানাজ আক্তার রুমির (২৮) রিমান্ড চলাকালীন তিনদিনের মাথায় তদন্তভার র্যাবে হস্তান্তর করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। তখন তার সাথে ছোট দুই সন্তানও ছিল। র্যাবের আবেদনের প্রেক্ষিতে শাহানাজ আক্তার রুমিকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আশুলিয়া থানা থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোরশেদ আলী মোল্লা বিভিন্ন নথিপত্র ও আনুষ্ঠানিকতা শেষে র্যাব- ৪ নবীনগর ক্যাম্পে মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার উনু মং এর কাছে হস্তান্তর করেন।
এসআই মোরশেদ আলী মোল্লা জানান, র্যাবের আবেদনে প্রেক্ষিতে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিদের্শে তাকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় তার ছোট দুই সন্তান মো. জাওয়াদ হোসেন (০৬) ও মো. তাহমিদ হাসানকেও (০৪) র্যাবের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এ ছাড়া তার বড় সন্তান মোসাম্মত আতিয়া হককে (১১) সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত: শনিবার বিকেলে আশুলিয়ার বাইপাইল বসুন্ধরারটেক এলাকায় অবস্থিত আমির হোসেন মৃধার ৫ তলার বাড়ির (মৃধা ভিলা) অভিযান চালায় র্যাব। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বেলকুনির গ্রীল কেটে পাঁচ তলা থেকে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন আব্দুর রহমান। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।
র্যাব আব্দুর রহমানের বাসায় তল্লাসী চালিয়ে বিভিন্ন স্থানে রক্ষিত প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা, অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক, নাইট ভিশন বাইনুকুলার, মোবাইল জ্যামার, উদ্ধার করে। পরদিন রোববার রাতে র্যাব বাদি হয়ে অস্ত্র আইনে ও সন্ত্রাসদমন আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন। সোমবার দুই মামলায় ৫দিন করে ১০দিনের রিমান্ডে আনা হয় তাকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন