জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘মানুষ করে তোলাই শিক্ষা’। এখন মানুষ বা ভালো মানুষ বলতে আমরা কী বুঝি? ভালো মানুষ হলো ‘যে কখনই কারো কোনো ক্ষতি করে না, সকলের প্রতি সহমর্মিতার মানসিকতা পোষণ করে এবং তার ওপর অর্পিত পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় যে কোনো দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে।’ আমাদের সন্তানদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। এ বিষয়ে শিক্ষকদের ভূমিকা এতই গুরুত্বপূর্ণ যে, আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট বলতে বাধ্য হয়েছেন যে, ‘আমি আমার বাবার কাছে ঋণী জীবনের জন্য, কিন্তু আমার শিক্ষকের কাছে ঋণী সুন্দর জীবনের জন্য।’ তাই ‘ভালো মানুষ গড়া’ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ও পবিত্র দায়িত্ব হওয়া উচিত। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য লেখাপড়া, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রমে সুপরিকল্পিত নৈতিকতা শিক্ষা ও ধর্মীয় অনুশীলন অত্যন্ত জরুরি।
সালাম প্রদান সম্পর্কে হযরত মোহাম্মদ (স.) বলেন, ‘সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম যে পরিচিত-অপরিচিত সকলকে খেতে দেয় এবং সালাম প্রদান করে’ (বোখারি ও মুসলিম)। এছাড়াও সালাম এক জনের সাথে অন্যজনকে পরিচিত করে, যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করে এবং আলোচনা শুরুর মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। সালাম প্রদান মানুষকে বিনয়ী করে এবং অন্যের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তোলে। তাই সালাম প্রদান ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার প্রথম এবং প্রধান পদক্ষেপ। এজন্যই সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং সিনিয়র ভাইবোনকে সালাম প্রদান করা সকল শিক্ষার্থীর জন্য আবশ্যক করা উচিত।
আমি যতটুকু জানি, দেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিটি শ্রেণির জন্য উপযোগী আলাদা আলাদা ২৫/৩০টি মূল্যবোধ সংবলিত তালিকা তৈরি করা হয়। তার মধ্য থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দশটি মূল্যবোধ প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট শ্রেণিকক্ষের সামনে হোয়াইট বোর্ডে লাগানো থাকে। শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রতিদিন ক্লাস শুরুর পূর্বে তা পাঠ করে। সপ্তাহের দু’দিন ফর্ম মিটিং এ প্রশাসনিক কার্যাবলির পাশাপাশি মূল্যবোধ তালিকা থেকে কোনো না কোনো মূল্যবোধ নিয়ে আলোচনা করা হয়। এক্ষেত্রে শ্রেণি শিক্ষক পূর্বেই নির্দিষ্ট দিনের জন্য শিক্ষার্থী ও বিষয় নির্ধারণ করে জানিয়ে দেন। শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট বিষয়ে দুই মিনিট বক্তব্য দেওয়ার পর শ্রেণি শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষার্থী তা নিয়ে আলোচনা করে থাকে। এভাবে সকল শিক্ষার্থীই সারা বছর দুই-তিন বার মূল্যবোধ নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পায়। মূল্যবোধ বিষয়ক বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের উল্লেখযোগ্য বাণী, মনীষী/মহাপুরুষদের বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য/বাণী প্রতিষ্ঠানের দেওয়ালে লিখে রাখা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন মহাপুরুষের ছবি সংবলিত জীবনী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন জায়গায় টাঙানো থাকে। এ ধরনের বক্তব্য/বাণী শিক্ষার্থী কর্তৃক ব্যবহৃত সকল ধরনের খাতা, ডায়রি, হাতের লেখা খাতা ইত্যাদিতে লেখা আছে। এই জীবনী এবং বাণীগুলো শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হয়ে গড়ে উঠার জন্য প্রভাবিত, অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করে। ভালো মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে প্রতি রবিবার কেন্দ্রীয় অ্যাসেম্বলিতে প্রতিষ্ঠানের প্রধান একটি করে মূল্যবোধ বিষয়ক বাণী ঘোষণা করেন এবং তা ব্যাখ্যা করেন। পরবর্তীতে তা প্রতিটি ক্লাসের হোয়াইট বোর্ডের বাম কর্নারে ওপরে পুরো সপ্তাহের জন্য লেখা থাকে।
প্রতিদিন প্রথম পিরিয়ডের শুরুতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ঐ বাণী নিয়ে ২/৩ মিনিট আলোচনা করেন। দেশের বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সকল শিক্ষার্থীর দিন শুরু হয় অ্যাসেম্বিলিতে মূল্যবোধ শিক্ষা ও অনুশীলনের মাধ্যমে। অ্যাসেম্বিলির শুরুতে শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট তরজমাসহ আয়াত পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করা হয়ে থাকে। পরে জাতীয় পতাকাকে সালাম প্রদানের মাধ্যমে শৃঙ্খলা ও দেশপ্রেম জাগ্রত করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়। এর পরে সকলে নিম্নলিখিত শপথ বাণী পাঠ করে, ‘আমি শপথ করছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখব, দেশের প্রতি অনুগত থাকব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকব। অন্যায় ও দুর্নীতি করব না এবং প্রশয়ও দেবো না। কোনো ব্যক্তির ক্ষতি করব না। প্রতিদিন কমপক্ষে একটি ভালো কাজ করব। হে আল্লাহ! আমাকে শক্তি দাও, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি আদর্শ ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। আমিন!’ এরপর পরম আবেগে দেশপ্রেমে আপ্লুত হয়ে সকলে গেয়ে উঠে জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা...’। পরে প্রতিষ্ঠানের প্রধান মহোদয় প্রদান করেন প্রেষণামূলক বক্তব্য, যেখানে তিনি বার বার সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন পিতা-মাতা, পরিবার, সমাজ ও দেশের প্রতি তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং কখনই কারো কোনো ক্ষতি না করা ও নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার গুরুত্ব। ‘সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে মোরা পরের তরে’ মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে শিক্ষার্থীদের দান করতে অভ্যস্ত করার লক্ষ্যে দান কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। এই উদ্দেশ্যে মূল ভবনের বারান্দায় সকল শিক্ষার্থীর জন্য চারটি বাক্স রাখা থাকে, যেখানে শিক্ষার্থীরা যথাক্রমে তাদের অব্যবহৃত কাপড়, ওষুধ, খেলনা ও শিক্ষাসামগ্রী দান করে এবং প্রতিমাসে তা দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয়। ‘পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ’ এই বিশ্বাসকে ধারণ করে ‘পরিচ্ছন্ন থাকি, পরিচ্ছন্ন রাখি’ এই শ্লোগান মুখে উচ্চারণ করে পরিচ্ছন্ন থাকার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য প্রতিমাসে একবার সকলে মিলে পুরো ক্যাম্পাসে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করে থাকেন। এই কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি মাসের একটি নিয়মিত কর্মসূচি। প্রতিটি শেণিতে তিন মাসের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয় যারা প্রতি মাসে প্রথম কর্ম মিটিংয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত মাদক ও ধূমপান বিরোধী শপথ বাক্য পাঠ করান এবং সকল শিক্ষার্থী এতে স্বাক্ষর সংগ্রহ করে। এর মাধ্যমে সকলের মধ্যে মাদক ও ধূমপান বিরোধী মানসিকতা ও বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করা হয়। মাদক বিরোধী শপথটি এই: ‘ধূমপান হতে মাদক দ্রব্য গ্রহণের সূত্রপাত। ধূমপান ও মাদকদ্রব্য গ্রহণ যে কোনো ব্যক্তির মারাত্মক শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে। মানসিকভাবেও সে বিকারগ্রস্ত হয়। ধূমপান ও মাদকদ্রব্য গ্রহণ একটি ভয়াবহ অপচয়। এটি পারিবারিক কাঠামো ধ্বংস করে দেয়, ব্যক্তি ও সমাজের শৃঙ্খলা নষ্ট করে, রাষ্ট্রকে সামনে এগিয়ে যেতে বাধা দেয়। সুতরাং আমি এই মর্মে অঙ্গীকার করছি যে, কখনো ধূমপান ও মাদকদ্রব্য গ্রহণ করব না। আমার বন্ধু-বান্ধব ধূমপান ও মাদকদ্রব্যে আসক্ত হলে তাকে ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হবো। আমার উদ্যোগ ব্যর্থ হলে তাকে ফিরানোর প্রয়োজনে অভিভাবক এবং শিক্ষকদেরকে বিষয়টি অবহিত করবো।’
দেশের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের বিশেষত শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রয়াস পরিদর্শন করানো হয়, যেন সৃষ্টিকর্তার প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতাবোধ জাগ্রত হয়। মহৎ এ অনুশীলনের মাধ্যমে বিদ্যার্থীদের মধ্যে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার মনোভাব সৃষ্টি হবে এবং সুযোগ পেলে এই বিশেষ শিশুদের তথা অসহায় মানুষের প্রতি সমব্যাথি হওয়া বা যত্ন নেওয়ার মানসিকতা তৈরি হয়। জ্ঞান মানুষকে ভালো ও মন্দ, ন্যায় অন্যায়, সত্য মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করতে শেখায়। জ্ঞান মানুষের আবেগ, বিবেক, সুন্দর অনুভূতি ও ভালো মনুষ্যত্ব জাগ্রত করে। তাই মূল্যবোধ চর্চার অংশ হিসেবে বই পড়া কর্মসূচি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যাপকভাবে কার্যকর রয়েছে। সপ্তাহে একদিন লাইব্রেরি কার্যক্রম সকলের জন্য আবশ্যক। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বই পড়া কার্যক্রম প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য চালু আছে যেখানে তারা বছরে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত চারটি বই আবশ্যিকভাবে পাঠ করে থাকে। ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃক পরিচালিত ম্যাজিকবক্সসহ সকল ধরনের বই পড়া কর্মসূচিও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চালু রয়েছে। খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্যদানের পাশাপাশি গড়ে তোলে সুশৃঙ্খল, নিয়মানুবর্তী, অনুগত, সুস্থ প্রতিযোগিতা ও সহযোগিতার মনোভাবসম্পন্ন এবং পারস্পিরিক মমত্ববোধসম্পন্ন। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য সপ্তাহে একদিন খেলাধুলা ব্যবস্থা করা আবশ্যক। এছাড়া বিকালে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোচের তত্ত্বাবধানে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, করাতে, তায়কোয়ান্ড, সাপাক টাকরো ইত্যাদি কোচিংয়ের ব্যবস্থা আছে। প্রতিষ্ঠানে সারা বছর খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও জ্ঞান জিজ্ঞাসা বিষয়ক প্রায় বিশটি আন্তঃহাউজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সারা বছর একটি উৎসবমুখর পরিবেশে নিজের প্রতিভার বিকাশ ঘটায় এবং সকলে মিলে সকল খারাপ কর্মকান্ড থেকে বিরত থেকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলে। প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিএনসিসি, রোভার, বয়স স্কাউট, কাব, রেঞ্জার, গার্ল গাইডস, হলদে পাখি, রেডক্রিসেন্ট ইত্যাদি সাংগঠনিক কার্যক্রম ছাড়াও আন্তর্জাতিক কানেকটিং ক্লাস রুম ও ডিউক অব এডিনবার্গ ইন্টারন্যাশনাল এওয়ার্ড কার্যক্রম সক্রিয়ভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও কোন কোন প্রতিষ্ঠানে ষোলটি ক্লাব কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এ কার্যক্রমগুলো তাদেরকে করে তুলছে সমাজের প্রতি সচেতন এবং দায়িত্ববান। এর মাধ্যমে তারা শিখছে ইংরেজি ভাষা, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, বিতর্ক, বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র, খেলাধুলা ইত্যাদি। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দ্বারা প্রতি বছর বার্ষিকী এবং ত্রৈমাসিক পত্রিকা ও বার্ষিক ম্যাগাজিন প্রকাশের ব্যবস্থা রয়েছে। এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানে সকল জাতীয় ও বিশেষ দিবসগুলো অত্যন্ত জাঁকজমক, শিক্ষণীয় ও সুপরিকল্পিতভাবে পালন করা হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও কৃষ্টি, মুক্তিযুদ্ধ, সমাজ ও মানুষ সম্পর্কে সঠিক ধারণা প্রদান করা এবং এসব বিষয়ে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে অবগত ও সচেতন করা হয়। শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জনের জন্য প্রতি বছর নবম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির সর্বমোট চব্বিশ জনকে স্কুল ও কলেজ লিডার, হাউজ লিডারসহ বিভিন্ন ধরনের নিয়োগ দেয়া হয়। বছরে কমপক্ষে দু’বার শ্রেণিভিত্তিক অভিভাবকদের সাথে সমন্বয় সভা করা হয়। যেখানে মূলত: পাঠ কার্যক্রম নৈতিকতা বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা বিষয়ক যে কোন সমস্যা অভিভাবকদেরকে ডেকে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, শাস্তির চাইতে সংশোধনকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়।
ভালো মানুষ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে দেশের বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে নৈতিকতা বা মূল্যবোধ অনুশীলনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সকল কর্মকান্ডে ফুটে উঠেছে ভালো মানুষ গড়ার প্রত্যয়। সকল শিক্ষার্থী দিনে বার বার উচ্চারণ করছে ‘কখনো কারো কোনো ক্ষতি করবো না, দিনে একটি হলেও ভালো কাজ করবো।’ এর মাধ্যমে এ সমস্ত প্রতিষ্ঠানে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতে ভালো মানুষ হওয়ার জ্ঞান প্রদান করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সমাজ-রাষ্ট্র ও পৃথিবীকে শান্তিময় স্থান হিসাবে গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের সকলকে এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসব নিয়মাবলী মেনে চললে ভবিষ্যৎ বংশধরেরা অবশ্যই প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন