নেছারাবাদে জেবুুুুন্নেছা নামে এক বিধবা নারীকে তিনটি জুুুুতার পিটান দিয়েছেন আব্দুল লতিফ ওরফে লতিফ সেক্রেটারি নামে এলাকার এক প্রভাবশালী। আব্দুল লতিফ উপজেলার গুয়ারেখা গ্রামের বাসিন্দা। আর ওই অসহায় নারী জেবুন্নেছা একই গ্রামের মৃত হালিম তালুকদারের স্ত্রী। গতকাল রোববার সকালে ইউনিয়নের চাঁদকাঠি খেয়াঘাটে বসে একটি সরকারি ঘর চাওয়ায় আব্দুল লতিফ তাকে জুতা দিয়ে পিটান দিয়েছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত লতিফ। গত ইউপি নির্বাচনে জেবুন্নেছা নৌকা প্রার্থীর নির্বাচন করার অপরাধে তাকে জুতার পিটান দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওই নারীর। জুতার আঘাতে ওই নারী জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি নেছারাবাদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে সরকারি চিকিৎসা নিয়েছেন।
জেবুন্নেছা অভিযোগ করে বলেন, আব্দুল লতিফ ওই ইউনিয়নের একজন প্রভাবশালী নেতা। বিএনপি, জাতীয় পার্টি আমলেও সে এলাকার প্রভাবশালী লোক ছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরেও এলাকায় তার অনেক প্রভাব। যে কারণে গেল মাস পাঁচেক আগে লতিফ মিয়ার কাছে একটি সরকারি ঘর চেয়েছিলেন। পরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লতিফ স্বতন্ত্র প্রার্থী রব বিশ্বাসের নির্বাচন করেন। তিনি চেয়ারম্যানের খাস লোক। আর আমি নৌকা প্রার্থী সুব্রত ঠাকুরের নির্বাচন করেছি। সুব্রত চেয়ারম্যান হতে পারেনি।
গতকাল রোববার সকালে চাঁদকাঠি খেয়াঘাট বসে আব্দুল লতিফের সাথে আমার দেখা হয়। এসময় তার কাছে আবারও ঘরের কথা বললে তিনি বলেন, তুই সুব্রত ঠাকুরের নৌকার নির্বাচন করেছ। তোকে কেন ঘর দেব। এসময় জেবুন্নেছা তাকে বলেন, বিএনপি-জাতীয় পার্টি আমলে এলাকায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। এখন আবার নৌকার নেতা হইছেন। এ কথা বলার সাথে সাথেই লতিফ মিয়া তাকে জনসম্মুখে সজোরে তিনটা জুটার পিটান দেন।
অভিযুক্ত লতিফ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জেবুন্নেছা তাকে ঘর পাইয়ে দেয়ার জন্য আমাকে তদবির করতে বলেছিল। তাই তাকে একটু গাল-মন্দ করেছি। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো. রব সিকদার জানান, আমি পিরোজপুরে একটা কাজে আছি। ওই মহিলাকে লতিফ জুতার পিটান দিয়েছে কিনা তা আমি এখন পর্যন্ত শুনিনি। না জেনে বলতে পারবো না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন