কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার মৌলভী বাজারে ফেয়ার হসপিটাল নামে একটি বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের একটি অংশ হসপিটালের অন্যতম উদ্যোক্তা ও নির্বাহী উপদেষ্টা ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনকে মারধর, ভাঙচুরের ঘটনায় বিঘ্নিত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। এসব ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্মরণাপন্ন হয়েছেন ডা. ইকবালসহ হসপিটালের অধিকাংশ পরিচালক। বিষয়টি নিয়ে বরুড়া থানাতেও অভিযোগ করা হয়েছে।
ডা. ইকবাল সাংবাদিকদের জানান, ২০০১ সাল থেকে এ উপজেলায় চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছি। ২০০৯ সালে আমি কতিপয় ব্যক্তির উদ্যোগে বরুড়ায় ফেয়ার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত করি। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই বিভিন্ন সময়ে আমি এবং এই হসপিটাল একটি মহলের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। মিথ্যা অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমাকে হাসপাতালে রোগী দেখতে দেয়া হচ্ছে না। সম্প্রতি হসপিটালে ভাঙচুর ও আমাকে মারধর করেছে পরিচালনা পর্ষদের কিছু লোক। ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন ভূইয়া ও তার সহযোগীরা ৯৪ জন মালিকাধীন ফেয়ার হসপিটালটি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দখল করার পাঁয়তারা করছে। তাদের কারণে হসপিটালের চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
হসপিটালের নির্বাহী উপদেষ্টা ডা. মোহাম্মদ ইকবাল আরো বলেন, হসপিটালের নিরবচ্ছিন্ন চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখার স্বার্থে এ ঘটনার সুষ্ঠু প্রতিকার চেয়ে বরুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আমরা অধিকাংশ পরিচালক আবেদন করেছি। এছাড়াও বরুড়া থানাতেও অভিযোগ করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিসুল ইসলাম জানান, হসপিটালটি নিয়ে দু’পক্ষের কোন্দলে স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। আমার বেশকিছু পরিচালক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত আবেদন করেছেন। আমি দুইপক্ষকে ডেকে একটি সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করবো। বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহার মজুমদার জানান, দুইপক্ষ ৪টি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন