সারাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে বিএনপির উদ্যোগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সম্প্রীতি মিছিলে বিএনপির সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা। পাশাপাশি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, ‘নয়াপল্টনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে নেতা-কর্মীরা যখন ঘরে ফিরছিলেন, তখনই পুলিশ অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।’
তাঁর অভিযোগ, ‘এ সময় পুলিশ নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করেছে। কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে। গুলি করেছে। এতে অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। অনেককে আটক করা হয়েছে।’
নিন্দা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি, নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তি দেওয়ার দাবি করছি।’
এ প্রসঙ্গে একেএম শাহ পরাণ লিখেছেন, ‘এ দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার হারিয়ে ফেলছে জনগণ।’
উদ্বেগ প্রকাশ করে তানিয়া জাহান লিখেছেন, ‘একটি দেশের সঠিক পরিচালনার জন্য বিরোধীদলকে তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হয়, এদেশে হচ্ছে তার উল্টো।’
এম হক লিখেছেন, ‘পুলিশ শুধু বিরোধী দল দমনে ব্যস্ত, অপরাধ দমনের জন্য নয়! বরং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যম হিসেবে আজ কাল সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। তবে সময় বদলাবে, অবশ্যই।’
নিন্দা জানিয়ে মোল্লা মিঠুন লিখেছেন, ‘পুলিশের এমন কর্মকান্ড দেখে জাতি হতভাগ! আমি ব্যক্তিগতভাবে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
তাহের পাটওয়ারীর ধারণা, ‘বিএনপি আন্দোলনের আড়ালে যদি সরকার পতনের ডাক দিয়ে বসে সেই ভয়! প্রচুর ভয় পায়!’
এমডি কাঞ্চন লিখেছেন, ‘দিন একদিন ফিরে আসবে আমরা সেই দিনটার অপেক্ষায় আছি। জানিনা আল্লাহ পাক কখন আমাদের হাতে সেই দিনটা ফিরিয়ে দেন।’
বিএনপিকে কাজী তাহমিনা বেগমের পরামর্শ, ‘যতদিন কোন দল নয়, সাধারন জনগণ মাঠে না নামবে; ততদিন কোন দলই সফলতা পাবে না। আগে জনগণের ভালোবাসা অর্জন করুন, তার পর মাঠে নামুন । এছাড়া হাজার হা করুন আর হু করুন কোন কাজে আসবে না।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন