যশোরের অভয়নগরে রড দিয়ে পিটিয়ে ও এসিড দিয়ে ঝলসে নারী শ্রমিক কেয়া খাতুন হত্যাকাÐের ঘটনায় আটক প্রেমিক শামীম গতকাল মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। এ হত্যাকাÐের ঘটনায় মামা লুৎফর রহমান মজুমদার বাদী হয়ে গত সোমবার রাতে অভয়নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে কেয়ার লাশ তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের কাদিরপাড়ায় দাফন সম্পন্ন করা হয়। মাকে হারিয়ে ১০ বছরের শিশু কন্যা মারিয়া আহাজারি করছে। তার আহাজারি কেউ থামাতে পারছে না।
গত সোমবার শিল্প শহর নওয়াপাড়ার এস এএফ ইন্ড্রাস্ট্রিজ চামড়ার মিল এলাকায় শামীম কেয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হলে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে শামীম তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে কেয়ার মাথায় আঘাত করে। কেয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মিলের ভেতর থেকে একটি মগে এসিড এনে তার শরীর ও মুখে ঢেলে দেয়। কেয়ার চিৎকারে ক্যান্টিনের ভেতরে থাকা শ্রমিকরা এগিয়ে এসে শামীমকে ধরে মিল কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে কর্তৃপক্ষ আহত কেয়াকে খুলনা আদদ্বীন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় এবং শামীমকে অভয়নগর থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। নিহত কেয়ার মামা হাবিবুর রহমান মজুমদার জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় খুলনার আদদ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ভাগ্নি কেয়া মারা যায়। সে স্বামী পরিত্যাক্তা ছিল। গত ১০ বছর ধরে একটি কন্যা সন্তান নিয়ে সে গ্রামে বসবাস করে আসছিল।
একই মিলে চাকরি করায় শামীম দীর্ঘদিন ধরে আমার ভাগ্নি কেয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। রাজি না হওয়ায় শামীম আমার ভাগ্নিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। খুনি শামীমের ফাঁসি দাবি করেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন