বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেছেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি ও সম্প্রীতি স্থাপন করতে হলে জনসাধারণের মধ্যে ইসলামের সঠিক আদর্শ ও অনুশাসনের ব্যাপক প্রচার-প্রসার এবং অনুশীলনের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য ইসলামী অনুশাসনের মূল উৎস পবিত্র কোরআনের অবমাননা করার মাধ্যমে দেশে অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হয়েছে। এ ষড়যন্ত্র শুধু ইসলামের বিরুদ্ধে নয়, দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে। সরকারের উচিত বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার মূল হোতাদের খুঁজে বের করা এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
তিনি শান্তি ও নিরাপত্তার গ্যারান্টি কোরআন সুন্নাহর আলোকে খেলাফত পদ্ধতির শাসন প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর লালবাগ কেল্লার মোড়স্থ খিলাফত মিলনায়তনে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর আয়োজিত থানা প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আবুল হাসান কাসেমীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব ও মহানগর নায়েবে আমীর মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, মুফতি সুলতান মুহিউদ্দীন, মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজি, অ্যাডভোকেট মুহাম্মাদ লিটন চৌধুরী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মহানগর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হান্নান আল হাদী, মোফাচ্ছির হোসাইন, মুফতি আ ফ ম আকরাম হোসাইন, মুফতী জসিম উদ্দীন, মুফতী মাহফুজুর রহমান, মাওলানা জাফর আহমাদ, মুফতি আব্দুস সালাম, মাওলানা মোহাম্মদুল্লাহ, আব্দুর রব ও থানা প্রতিনিধিবৃন্দ।
সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলামী রাষ্ট্রের খলীফাগণ অমুসলিম বৃদ্ধ নাগরিকদের জন্যও বায়তুল মাল থেকে ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। ইসলামী রাষ্ট্র তথা খেলাফত প্রতিষ্ঠা হলে সব ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে; দ্রব্যমূল্যে লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে; খুন, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি, অশ্লীলতা, তরুন ও যুব সমাজের অবক্ষয় শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন