শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় হামিদুল্লাহ (৪৮) নামে এক ইউপি সদস্য ও তার দুই ছেলে গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। আহত হামিদুল্লাহ উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ভারুয়া গ্রামের মো. আব্দুল গনির ছেলে ও নলকুড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। আহত অপর দু'জন হলেন, ইউপি সদস্য হামিদুল্লাহ'র ছেলে আবু তাহের (৩০) ও আবুল কাশেম (২২)। গত শনিবার স্থানীয় ভারুয়া বাজারে শরিফ মিয়ার চায়ের দোকানে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা বর্তমানে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নলকুড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মজনু মিয়া ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইউপি সদস্য হামিদুল্লাহর সাথে ভারুয়া গ্রামের হাইজদ্দিনের ছেলে নূরুল ইসলাম ও সাবেক ইউপি সদস্য ইব্রাহিমের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারুয়া বাজারে গোলাম মোস্তফার চায়ের দোকানে হামিদুল্লাহ মেম্বারের উপর নূরল ইসলাম ও ইব্রাহিম মেম্বার গংরা হামলা চালায়। এসময় উপস্থিত লোকজন উক্ত হামলা প্রতিহত করেন। ওই ঘটনায় হামিদুল্লাহ মেম্বার বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
অপরদিকে গত ৩০ অক্টোবর শনিবার ইউপি সদস্য হামিদুল্লাহ ধান ক্ষেত দেখতে যান। ক্ষেত দেখে বাড়ি ফেরার পথে সাবেক ইউপি সদস্য ইব্রাহিমের ছেলে রাশেদের নেতৃত্বে দেলোয়ার হোসেন, রবিউল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, রুমান, মনির, খোকন, আশরাফুল,নিবির, রাশেদুল, বাদল,জিয়াসহ ১৫/২০ জন পরিকল্পিতভাবে তার উপর আক্রমন করে। উপায়ান্তর না দেখে হামিদুল্লাহ দৌড়ে ভারুয়া বাজারের শরিফ মিয়ার চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন। এসময় সন্ত্রাসীরা চায়ের দোকানে প্রবেশ করে তাকে বেধরক মারপিট সহ চায়ের দোকান ভাংচুর করে। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে পিতা হামিদুল্লাহকে উদ্ধার করতে এসে ছেলে আবু তাহের ও আবুল কাশেম গুরুতরভাবে আহত হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে আহতরা শেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত হামিদুল্লাহর বড় ভাই আলাল উদ্দিন বাদী হয়ে শনিবার দিবাগত রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষযয়ে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে বিট পুলিশ কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন