বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ফলাফল নিয়ে কোন ভর্তিচ্ছুর অভিযোগ থাকলে উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের সুযোগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সাধারণত ফল প্রকাশের দিন ওই সময় বেঁধে দেয় সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো। বিষয়টি নোটিশ কিংবা বিজ্ঞপ্তি আকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়, ওয়েবসাইটে এবং গণমাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু গত ৬ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায়ে শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের কোন বিজ্ঞপ্তি দেয়নি।
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুল, ফল প্রকাশে রেকর্ড সময় বিলম্ব, ফলাফল দেখতে বিড়ম্বনা ও রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষার্থীর অকৃতকার্য হওয়ার পর এবার এ অভিযোগ উঠেছে ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে। ভুক্তভোগীরা জানান, তাদের উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের ইচ্ছে থাকার পরও বিষয়টি না জানায় তাঁরা উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণে আবেদন করতে পারেননি।
জানা যায়, নিয়মানুযায়ী ফল প্রকাশের পরবর্তী এক সপ্তাহ উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের সময় দেয়ার কথা থাকলেও এ সংক্রান্ত কোন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি ইউনিটটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও ডিন অফিসের নোটিশ বোর্ডে এ সংক্রান্ত কোন তথ্য নেই। ফলাফল প্রকাশের পর জনসংযোগ দফতর থেকে প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতেও ছিল না উত্তরপত্র নিরীক্ষণের নিয়মাবলী। যদিও কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিট উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের নোটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি দায়িত্বশীল শাখা থেকেই প্রকাশ করা হয়েছে। এ নিয়ে অনেক ভর্তিচ্ছুর অভিযোগ ইচ্ছে থাকার পরও শুধু সময় না জানায় তাঁরা উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণে আবেদন করতে পারেননি।
ব্যবসায়ে অনুষদের ডিন অফিসের ভাষ্য অনুযায়ী এরপর দিন থেকেই পরবর্তীতে এক সপ্তাহ উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের সময় ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে ১১ জন শিক্ষার্থী তাদের ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করে। যদিও অনেক শিক্ষার্থী সময়সীমা জানা না থাকার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করতে পারেননি। তবে ব্যবসায় অনুষদের ডিন ও ‘গ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহŸায়ক অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ফ্যাকাল্টিই এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেয়া না। কারোর অভিযোগ থাকলে ডিন অফিসে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়। এই বার ১১ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছে এবং তাদের উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সিদ্ধেশরী গালর্স কলেজের ছাত্রী শারমিন সুলতানা বলেন, তিনি ভর্তি পরীক্ষায় সর্বমোট ৭০ পেয়েছেন কিন্তু ইংরেজিতে ৯ দশমিক ৮৬ পাওয়ায় তিনি ভর্তির সুযোগ পাননি। তাই তিনি চেয়েছেন উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণ করতে। কিন্তু ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত কোন তথ্য না পেয়ে তিনি আবেদন করার সুযোগ পাননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন