শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নির্বাচন ও সংলাপ কোনটিতেই যাবে না বিএনপি

আলোচনা সভায় আমির খসরু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংলাপ কোনটাতে বিএনপি যাবে না বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আগামী নির্বাচনে এই রেজিমের অধীনে বিএনপি অংশগ্রহন করবে না। শুধু তাই নয় কোনো আলোচনায় বিএনপি যাবে না। কারণ আমরা বিগত দিনে আলোচনাও করেছি, নির্বাচনে অংশগ্রহনও করেছি। তার ফলাফল বাংলাদেশের মানুষ পেয়েছে, বিশ্বাবাসীর কাছে এটা পরিস্কার দিনের আলোর মতো। সুতরাং এই রেজিমের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যাবে না, আলোচনায়ও যাওয়া যাবে না।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘অন্তরে মম শহীদ জিয়া’ নামক একটি সংগঠনের উদ্যোগে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য ও বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, একমাত্র নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আলোচনা শুরু হতে পারে। যখন বাংলাদেশে নিরপেক্ষ সরকার দায়িত্ব নেবে তখন আলোচনা হতে পারে কিভাবে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে, নির্বাচন কমিশন কিভাবে হবে এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো যেগুলো নির্বাচনের সাথে জড়িত তাদের কার্যক্রম কিভাবে আগামী দিনে হবে। তার আগে আলোচনা কোনো সুযোগ নাই। এটা পরিস্কার এর মাধ্যমে এই অনির্বাচিত একটা সরকারকে আমাদের বিদায় করে একতাবদ্ধ হয়ে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যাতে নির্বাচন হতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যে আন্দোলনের ডাক তারেক রহমান দিয়েছেন, বিএনপি দিয়েছে এই আন্দোলনকে সফল করার জন্য সকলকে প্রস্তুতি নিতে আমি আহবান রাখছি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পেছনে আওয়ামী লীগই দায়ী অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সাম্প্রদায়িক সমস্যা সৃষ্টির পেছনে মূলত কাজ করছে সেটা হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আজকে (কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপে হামলা) এটা দিনের আলোর মতো পরিস্কার কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত। যারা এই ঘটনার শিকার তারা বলেছে। এখানে এমপি, মেয়র, ছাত্রলীগের কথা বলেছে, তাদের সমর্থকদের কথা বলেছে। এই ঘটনাগুলো পত্র-পত্রিকায়, সোশ্যাল মিডিয়াতে এসেছে কারা জড়িত? তারপরেও তারা (সরকার) আইনের শাসনের নাম যে বেআইনি কাজগুলো করছে এবং সাধারণ নিরহ মানুষের ওপর দায় চাঁপিয়ে তারা আজকে সবচেয়ে বড় ক্ষতি করছে যে, আগামী দিনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে তারা বাঁধাগ্রস্থ করতে চাচ্ছে। কারণ তারা বিচার করছে না। গত ৯ বছরে তিন হাজারের উপরে হিন্দু সম্প্রদায় ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ হয়েছে। কোনটার বিচার হয়নি। আজকে যে ঘটনা ঘটেছে তারা যেভাবে এগুচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে এই ঘটনারও তারা বিচার করতে চাচ্ছে না।

তিনি বলেন, আজকে যারা সরকারে আছে তাদেরকে আমি সরকার বলে অভিহিত করি না, এটাকে রেজিম বলি। সরকার হয় কখন যারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হয়, সরকার হয় কখন? যখন একটা রাজনৈতিক দল সত্যিকার অর্থে সরকার পরিচালনা করে।

আজকে বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে কোনো রাজনৈতিক দল সরকার পরিচালনা করছে না। এটা একটা রেজিম, দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তাসহ এদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটা রেজিম সৃষ্টি করেছে এবং এই রেজিমের মাধ্যমে দেশের মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যেটা হচ্ছে মানুষের ধর্ম-কর্ম করার অধিকার সেটাও তারা কেড়ে নিয়েছে। ইতোমধ্যে তারা মানুষের ভোটাধিকার, আইনের শাসন, বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সর্বস্তরের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এখন জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলে একতাবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে সরিয়ে দিতে হবে। এছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই।
সংগঠনের উপদেষ্টা ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন রাসেলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আহবায়ক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু, মহানগর দক্ষিন বিএনপির সদস্য নাদিয়া পাঠান পাপন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন