মাত্র ৫ টন ধারণক্ষমতাস্থলে ২০ টনের বেশি ওজন নিয়ে পারাপারের সময় বেইলি ব্রিজ ভেঙে পড়েছে খাদে। জামালপুরের সরিষাবাড়ী থেকে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলাগামী মালিপাড়া-মুনসুরনগর সড়কের ব্রাহ্মণজানি বাজার এলাকায় গতকাল ভোরে এ ঘটনা ঘটে। ৪০০ বস্তা সিমেন্ট নিয়ে একটি ট্রাক বেইলি ব্রিজ পার হওয়ার সময় মাঝখানে ভেঙে খাদে পড়ে যায়। এসময় ট্রাকের চালক ও সহকারী গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
সওজ সূত্র জানায়, জামালপুরের সরিষাবাড়ী থেকে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় যাতায়াতের একমাত্র মালিপাড়া-মুনসুরনগর সড়কের ব্রাহ্মণজানি বাজারের কাছাকাছি একটি ব্রিজ ছিল। দুই বছর আগে প্রবল বন্যার স্রোতে ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে সেখানে সাময়িকভাবে চলাচলের জন্য একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করে জামালপুরের সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এ বেইলি ব্রিজে সর্বোচ্চ ৫ মেট্রিক টনের বেশি ওজন পরিবহন নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্রাহ্মনজানি বাজারের ব্যবসায়ী আশরাফ আলী ট্রাকযোগে জামালপুর থেকে ৪০০ বস্তা সিমেন্ট আনার সময়ই মূলত এই ঘটনা ঘটে। ট্রাকের ওজন ছাড়াই শুধু সিমেন্টের ওজনই ছিল প্রায় ২০ মে. টন।
মাসুদ রানা, সুলতান মাহমুদ, আশরাফুল আলমসহ স্থানীয়রা জানান, বুধবার ভোরে ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রিজ দিয়ে জামালপুরের বেলটিয়া টিউবওয়েলপাড়ের মোফাজ্জল এন্টারপ্রাইজের একটি ট্রাক অতিরিক্ত বোঝাই নিয়ে ব্রিজটি পার হচ্ছিল। এসময় ব্রিজ মাঝখানে ভেঙে ট্রাকসহ নীচে খাদের পানিতে পড়ে যায়। দুই উপজেলার পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামে বসবাসরত হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটি। ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় এলাকার মানুষের যাতায়াতসহ চরাঞ্চলের কৃষিপণ্য শহরাঞ্চলে নিতে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা জানান, ব্রিজটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। এটি ভাঙার খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হয়েছে। অতিরিক্ত মালামাল বোঝাই করার কারণে কোনো আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে কি-না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জামালপুর সড়ক ও জনপথের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাশার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন মুঠোফোনে জানান, অতিরিক্ত মালামাল বোঝাই করে ট্রাক যাওয়ার কারণে ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে। ইতোমধ্যেই এটি মেরামতের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ট্রাকটি উদ্ধার করতে ৪-৫ দিন সময় লাগতে পারে, সেজন্য ব্রিজ পুনরায় সচল হতে কয়েকদিন সময় লাগবে বলেও তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন