রাবি রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংক শাখায় প্রতিনিয়ত কোন না কোনোভাবেই যৌন হয়রানির শিকার হন ছাত্রীরা। কর্তৃপক্ষের গাফলতি, অপর্যাপ্ত স্থান, সুনির্দিষ্ট নিয়ম-শৃঙ্খলা না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে এসব ঘটনা বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের। গতকালও যৌন হয়রানির শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া এক ছাত্রী। ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে এসেছিলেন মেয়েটি। কিন্তু ব্যাংকের ভেতরটা তখন মানুষে ভর্তি। টাকা জমা দেয়ার শেষ তারিখ হওয়ায় ফিরেও যাওয়ারও জো নেই। বাধ্য হয়ে হুড়োহুড়ির মধ্যে টাকা জমা দিতে গেলেন সে। আর তখনই পেছন থেকে অপরিচিত কোনো এক যুবক তার শরীরে হাত দিতেই মেয়েটি চিৎকার দিয়ে উঠেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, এমন ঘটনা সচরাচর ঘটেই চলেছে অগ্রণী ব্যাংক রাবি শাখায়। তবে এসব বিষয় যেন চোখেই পড়ছে না কর্তৃপক্ষের। নেই সুষ্ঠুভাবে ব্যাংকের কাজ সম্পন্ন করার কোন পদ্ধতি। আর অপরিকল্পিত সেবাদানের কারণে ছাত্রীদেরকে মাঝেমধ্যেই যৌন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনার পর গতকাল বেলা ১২টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় তিনশ’ শিক্ষার্থী ঠাসাঠাসি করে দাঁড়িয়ে আছেন ফরম পূরণের টাকা জমা দেয়ার জন্য। যেখানে স্বাভাবিকভাবে অর্ধশত মানুষ কাজ করতে পারে। নির্দিষ্ট কোন লাইনেও দাঁড়ায়নি কেউ। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও নেই কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম।
এক ছাত্রী বলেন, পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য ব্যাংকে টাকা জমা দিতে এসেছিলাম। কিন্তু এতো ভিড়ের মধ্যে কাজ করা সম্ভব না। আর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আলাদা কোন লাইন না থাকায় পড়তে হচ্ছে বিপাকে। আলাদাভাবে লাইন করে দাঁড়ালে শৃঙ্খলা ঠিক থাকতো। কিন্ত কর্তৃপক্ষও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে অগ্রণী ব্যাংক রাবি শাখার ব্যবস্থাপক বজলুর রশিদ বলেন, ছুটি শেষে ব্যাংক খোলায় প্রথম দিন বেশি ভিড় হয়েছে। এছাড়া প্রতি মাসের ২৯ তারিখ বেতন তোলার দিনও এমন হয়। তখন অল্প জায়গায় অনেক মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। এসব সমস্যা নিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বসে শীঘ্রই আলোচনা করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন