হঠাৎ করে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে দেয়ায় খুলনায় কৃষি-পরিবহণসহ বিভিন্ন সেক্টরে বিরুপ প্রভাব পড়েছে। সামগ্রিকভাবে একটি অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে যেমন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির আশংকা দেখা দিয়েছে তেমনি পরিবহণ ও কৃষি সেক্টরসহ বিভিন্ন খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে বৃহষ্পতিবার সকাল থেকে খুলনার পেট্রোলপাম্পগুলোতে পরিবহণের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। প্রায় প্রতিটি পেট্রোল পাম্পের কর্মীদের সাথে পরিবহণ চালক-হেলপারদের বাগবিতন্ডায় লিপ্ত হতে দেখা গেছে।
নগরীর খালিশপুরের একটি পেট্রোল পাম্পে আসা ট্রাক ড্রাইভার গোলাম সরোয়ার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় বলেন, হঠাৎ পাম্পে এসে দেখছি ডিজেল ৮০ টাকা। গতকালও ৬৫ টাকা করে প্রতি লিটার কিনেছি। একদিনে ১৫ টাকা বাড়ানো মেনে নেয়া যায় না।
খুলনার এসএস পেট্রোল পাম্পের মালিক গোলাম কিবরিয়া বলেন, ধাপে ধাপে দাম বৃদ্ধি করলে এ অবস্থা হত না। দাম বৃদ্ধির প্রভাব পরিবহণ সেক্টরে পড়বে।
খুলনা বাস মালিক সমিতির কর্মকর্তা ও বাস মালিক শহিদুল ইসলাম বলেন, ডিজেলের দাম বেড়েছে, এখন আমাদের যাত্রী ভাড়া সমন্বয় করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটার অন্তত: ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে ১০০ কিলোমিটারের ভাড়া কমপক্ষে ৫০ টাকা বাড়বে।
পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফফার বিশ্বাস জানান, সরকারের দাম বৃদ্ধির নির্দেশনা আমাদের মেনে চলতে হবে। তবে সরকার জ্বালানী সেক্টরে ভর্তুকি বাড়িয়ে দিলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হতো।
খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম জানান, সেচ মৌসুমে খুলনায় দৈনিক ডিজেলের চাহিদা প্রতিদিন ১৬ থেকে ২০ লাখ লিটার। আবাদের সময় এ চাহিদা কিছুটা কমে। ডিজেলে ও কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি কৃষির উপর পড়বে।
খুলনা পাইকারী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বৃদ্ধিতে পণ্যমূল্য বাড়বে। কারণ ডিজেলের দামের সাথে পণ্য পরিবহণের সম্পর্ক রয়েছে। তাছাড়া কৃষি উৎপাদনে খরচ বাড়বে। সব মিলিয়ে আরো এক দফা পণ্যমূল্য বৃদ্ধির মুখোমুখি রয়েছি আমরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন