কাঁধ শক্ত হয়ে যাওয়া, কাঁধে তীব্র ব্যথা এবং ধীরে ধীরে কাঁধের ও হাতের নাড়ানো-র ক্ষমতা কমে যাওয়া হল ফ্রোজেন সোলডার-এর প্রধান লক্ষণ। সাধারণত উপসর্গগুলো ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং সময়ের সাথে তা খারাপ হতে থাকে। তবে ৯ মাস থেকে ২ বছরের মধ্যে ফ্রোজেন সোলডার সম্পূর্ণ নিরাময় হয়ে যায়। সাধারণত ডায়াবেটিস রোগী, সোলডার ইনজুরি, সোলডার সার্জারি, সারভাইকেল স্পন্ডোলায়সিস, হার্ট সার্জারি, মহিলাদের মাসিক বন্ধ হবার পর এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
ব্যথা, কাঁধ শক্ত হয়ে যাওয়া, জয়েন্ট নড়াচড়াতে অসুবিধা, হাত ঝিন ঝিন করা, হাতে ভারী ভাব এর প্রধান লক্ষণ। সাধারণত এই রোগের ক্ষেত্রে শুরুতে পরীক্ষায় কোন কিছু পাওয়া যায় না। কিন্ত সমস্যা আপনি নিজে নিজেই অনুধাবন করবেন। কিন্ত অনেকেই বিষয়টিকে পাত্তা দেন না। যখন এরকম সমস্যার ব্যক্তিরা ভীষণ কষ্ট অনুধাবন করেন তখন সমস্যাটি বেশ জটিল করে চিকিৎসকের সম্মুখী হন। সাধারনত ফ্রোজেন সোলডরের কারনে চুল আঁচড়াতে, শার্ট পরতে, পিছনের পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করতে, ভারি জিনিস উঠাতে অসুবিধা হয় বা হাতে ভারি জিনিস একটু বহন করতেই হাত যেন আর চলে না। প্রথমে ডাক্তার আপনাকে ব্যথা নিরাময়ক ঔষধ এর পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি করতে বলেছে তাও করেছেন এবং স্টেরোয়েড ইনজেকশন নেওয়ার পরেও আশানুরূপ উপকার পান নাই, তাদের জন্য এক্সট্রাকর্পোরেল শক ওয়েভ চিকিৎসা পদ্ধতির ব্যবহার সাফল্যের সাথে ব্যবহার হয়েছে। আধুনিক এই চিকিৎসা পদ্ধতি (ইউ এস এ) এফডিএ কর্তৃক অনুমোদিত। বর্তমানে বাংলাদেশে কিছু সেন্টার, এ পদ্ধতি শুরু করেছে এবং ভালো ফলাফলের জন্য পদ্ধতিটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই চিকিৎসার সাথে সাথে প্রতিদিন বাসায় শেখানো ব্যায়ামগুলো করতে হবে। এতে দ্রুত ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে।
সাধারনত আপনি যদি ক্রনিক সোলডার পেইন বা দীর্ঘমেয়াদী কাঁধে ব্যথায় ভুগে থাকেন, দীর্ঘদিন ব্যথার ওষুধ খাচ্ছেন,ফিজিওথেরাপি / আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি নিয়েছেন কিন্তু আশানুরূপ ফল পাচ্ছেন না তাহলে আপনি এই চিকিৎসা নিতে পারেন। বাংলাদেশের তরুন চিকিৎসকরা
প্রযুক্তির কল্যানে আপনাকে সহজেই সুস্থ করে তুলবে, ভরসা রাখুন ও নিজেকে সুস্থ রাখুন।
সামসুল হক নাদিম
প্রতিকৃৎ, সার্টিফাইড শকওয়েব প্রাক্টিশনার এবং
চীফ কনসালটেন্ট বেন- ইউরো ফিজিওথেরাপি ক্লিনিক,
ওয়েব: https://beneurophysiotherapy.com/
প্রয়োজনে- ০১৭২৭৬৫৬২৩৭।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন